বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, গ্যাস সংকটের কারণে নারায়ণগঞ্জের সব টেক্সটাইল মিল বন্ধ রয়েছে। আড়াইহাজার ও ভুলতায় কিছু কারখানা গ্যাস পেলেও তা দিয়ে উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় আগামীতে শিল্পের ভবিষ্যৎ কী হবে তা বলা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, গ্যাস সংকটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত টেক্সটাইল মিলগুলো। ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত গ্যাসের ট্যারিফ ৬১৭ শতাংশ বেড়েছে। ২০০৯ সালের আগস্টে ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রতি ইউনিট ৪ টাকা ১৮ পয়সায় এবং শিল্প সংযোগের জন্য প্রতি ইউনিট ৫ টাকা ৮৬ পয়সায় গ্যাস দেওয়া হতো। এখন তা বেড়ে ৩০ টাকা হয়েছে। গ্যাসের দাম বাড়ানোর সময় সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে, এলএনজি আমদানির বাড়তি খরচ মেটাতে এই মূল্যবৃদ্ধি। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, ট্যারিফ বৃদ্ধির আগে এবং পরে গ্যাস সরবরাহ অবস্থা শোচনীয়ই রয়ে গেছে। বর্তমানে অসহনীয় পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। এখন বাড়তি দাম দিয়েও গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না।
মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোয় উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। এখন গ্যাস সংকটের কারণে সেটি আরও বৃদ্ধি পাবে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ১৬ বিলিয়ন ডলারের ঝুঁকিতে পড়বে। ১০ লাখ মানুষ এই শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত। উৎপাদন করা না গেলে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের শঙ্কাও তীব্র হবে। শিল্পের স্বার্থে সরকারকে গ্যাস সরবরাহের অগ্রাধিকার ঠিক করতে হবে। কোন খাতে গ্যাস সরবরাহ করলে তার ফিডব্যাক কী পাওয়া যাবে সেটি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রেখে জ্বালানিনীতি প্রণয়ন জরুরি।