Logo
Logo
×

ডাক্তার আছেন

জোরে নাক ঝাড়লে ফেটে যেতে পারে কানের পর্দা

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:০৭ পিএম

জোরে নাক ঝাড়লে ফেটে যেতে পারে কানের পর্দা

ছবি: সংগৃহীত

জোরে নাক পরিষ্কার করলে ক্ষতি আপনারই। যদি আপনি সর্দি পরিষ্কার করতে খুব জোরে নাক ঝাড়েন কিংবা পরিষ্কার করেন, তবে নাকের যে প্রাকৃতিক পরিষ্কার করার প্রক্রিয়া রয়েছে, তা ব্যাহত হয়।  অনেকেই আছেন, বাসে উঠলেই দেখা যায় কেউ নাক টানছেন, আবার কেউ সর্দি ঝেড়ে নাক পরিষ্কার করছেন। এমন দেখা যায়, নাক নিয়ে বড় ঝামেলায় পড়েছেন তিনি। বারবার সর্দি ঝেড়ে নাক পরিষ্কার করছেন। মূলত ঠান্ডা লাগার কারণে এসব সমস্যার মুখে পড়েন অনেকেই। 

সে কারণে ঠান্ডা লাগলে কিংবা সর্দি হলে নাক এক থেকে দুই লিটার মিউকাস উৎপাদন করে। এই মিউকাস হলো ভাইরাসের মোটা স্তর। সর্দি হলে খুব স্বাভাবিকভাবেই নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। তখন নাক ঝেড়ে সর্দি পরিষ্কার করলে আরাম লাগে। কিন্তু এ পদ্ধতি অনেক সময় আপনার সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। বরং এতে আপনার নাকের আরও ক্ষতি হতে পারে। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন— মিউকাস ও জীবাণুগুলো সাইনাসের ভেতরে বা কানের মধ্যখানে ঢুকে যেতে পারে। এর জেরে সাইনাসে ইনফেকশন ও কানে ব্যথা— এমনকি কানের পর্দা ফেটেও যেতে পারে। আর জোরে নাক ঝাড়লে শ্বাসনালিতেও উচ্চ পরিমাণে চাপ সৃষ্টি হয়। এতে মিউকাস ভুল দিকে চলে যেতে পারে। তাই প্রাথমিক যে সমস্যা হয়, তা হলো— আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন না। 

আর শ্বাসযন্ত্রে মিউকাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি প্রতিরক্ষার কাজ করে প্রাথমিক স্তরে। এ ছাড়া ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসকে আটকে দেয়। ফলে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয় না। তাই হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে মিউকাস সব ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসকে শরীর থেকে বাইরে বের করে দেয়। আর ঠান্ডা লাগলে মিউকাস উৎপাদনের পরিমাণ বেড়ে যায়, এটা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার একটি উপায়। কিন্তু ভুল উপায়ে নাক ঝাড়লে বা পরিষ্কার করলে তখনই সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় নাক দিয়ে রক্তও বের এবং সংক্রমণ দেখা দেয়।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম