সুখের কান্না বলে একটা বিষয় আছে বটে, তবে বেশিরভাগ সময়ই কান্নার উৎস দুঃখ-কষ্ট। মনের ভেতরের কষ্টগুলোই অশ্রু হয়ে ঝরে। কেউ কাঁদলেই তাকে আশপাশের লোকেরা কান্না বন্ধ করতে বলেন, তার কান্না থামানোর জন্য নানা কসরত করেন।
তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, কারো কান্না থামাতে অত উতলা হওয়ার দরকার নেই। কারণ চোখের পানির গুণের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়।
এই যেমন অশ্রুর মাধ্যমে চোখের অনেক রোগবালাই ধুয়েমুছে যায়। এতে আছে চোখে ধুলাবালি জমা, চোখ শুষ্ক থাকার মতো সমস্যাগুলোর প্রতিকার। চোখের পানিতে থাকা আইসোজাইম নামের একটি এনজাইম চোখের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলোকে ধ্বংস করে সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।
এছাড়া দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতে কর্নিয়ার জন্য যে অক্সিজেন প্রয়োজন, সেটাও সরবরাহ করে চোখের পানি।
মানুষ খুব বেশি আবেগি হয়ে কাঁদে, তখন চোখের পানির সঙ্গে কর্টিসল নামের একটি স্ট্রেস হরমোন নিঃসৃত হয়–এর মাধ্যমে মানুষ মানসিক প্রশান্তি লাভ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, কান্নার ফলে মস্তিষ্কে অক্সিটোসিন এবং এনডোরফিন নামের দুটি কেমিক্যালের উৎপাদন বেড়ে যায়, যা বেদনা ভুলে মানুষের শরীর-মনকে প্রফুল্ল করতে সাহায্য করে।
তবে চোখের পানির গুণবিচারের ক্ষেত্রে কান্নার উৎস গুরুত্বপূর্ণ। শুধু আবেগ-নিঃসৃত চোখের পানিতে-ই উপরোক্ত গুণাবলী বিদ্যমান। চোখের কোনো অসুস্থতার ফলে ঝরা পানি মূল্যহীন।
এ প্রসঙ্গে গ্লোবাল ভিশন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. এলেনা তোরেস বলেন, ‘চোখের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে চোখের পানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তবে এটি বৃহত্তর শারীরবৃত্তীয় ধাঁধার একটি অংশ মাত্র।’
তথ্যসূত্র: সামা টিভি