শীতের শুরুতে জ্বর সর্দি-কাশি ও গলাব্যথা—যেভাবে এড়িয়ে চলবেন
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৬ পিএম
শীতকাল পড়তে না পড়তেই শুরু হয়েছে জ্বর, সর্দি-কাশি আর গলাব্যথা। আট থেকে আশি— শীত আসার আগেই ঠান্ডায় কাবু সব বয়সি মানুষ। যাদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে, তাদের মৌসুম বদলের সময় বাড়তি সতর্ক থাকা জরুরি।
ঋতু বদলের সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়ার যে পরিবর্তন ঘটে, এর সঙ্গে অনেকের শরীর ঠিকমতো মানিয়ে নিতে পারে না। তাই শীতকাল পড়তে না পড়তেই শুরু জ্বর, সর্দি-কাশি আর গলাব্যথা। এতে আক্রান্ত হন কমবেশী ছোট-বড় সবাই।
এ বিষয়ে চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেছেন এখন সকালের দিকে গরম আর রাত পড়তেই হালকা শীত শীত ভাব। এ সময় ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা খুব বেশি থাকে। সন্ধ্যার পর থেকেই শিশির পড়তে শুরু করে আর ঠান্ডা বাতাস লাগে। তাই এখন থেকেই সঙ্গে রাখুন মাফলার।
তিনি বলেন, ট্রেন, বাস কিংবা অটোতে জানালার ধারে বসলে কান-গলা ভালো করে ঢেকে বসুন। বাইকে যারা যাতায়াত করেন, তারা গরমের পোশাক পরে, গলা ঢেকে বাইক চালান। যাদের হাঁপানির সমস্যা রয়েছে, তারা এই সময়টা খুব সাবধানে চলাচল করুন। সঙ্গে অবশ্যই ইনহেলার রাখুন। আর খুব বেশি শ্বাসকষ্ট হলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। দেরি করলে মৃত্যুর ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে। বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে এ সাবধানতা অবলম্বন করুন।
যেভাবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন—
১. এই সময়ে কখনো কখনো ফ্যান, এসি না চালালে গরম লাগে, আবার চালালে ঠান্ডা লাগে। গরম লাগছে বলে খুব জোরে ফ্যান চালাবেন না ভুলেও, এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে যেন না করা হয়, সেদিকেও সতর্ক থাকুন।
২. যাদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে, তারা এই মৌসুমে ঠান্ডা পানিতে গোসল করবেন না ভুলেও। শীতের সময়টায় সামান্য গরম পানিতে গোসল করা ভালো। আর ভোরবেলা হোক কিংবা অফিস থেকে ফিরে— যখনই গোসল করবেন, গরম পানি দিয়ে করুন।
৩. শীতের সময়ে অল্প সর্দি-কাশি হলেও আগে থেকেই লবণপানিতে গার্গেল করুন। গরম পানির ভাপ নিন নিয়মিত।
৪. বাড়িতে কারও সর্দি-কাশি হলে শিশুদের তার কাছে যেতে না দেওয়াই ভালো। অফিসের ভেতরে এসিতেই অনেকটা সময় কাটে অনেকের। অফিসে কারও সর্দি-কাশি হলে নিজেকে সাবধানে রাখুন। প্রয়োজনে তাকে মাস্ক পরতে বলুন বা নিজে মাস্ক ব্যবহার করুন। ঘন ঘন হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন। হাত না ধুয়ে মুখ-চোখে কিংবা নাকে হাত দেবেন না। বাইরে বেরোলে মাঝেমাঝেই হাত স্যানিটাইজ করুন।
৫. এই সময়ে পুষ্টিকর খাওয়া-দাওয়ার দিকে নজর রাখুন। প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খান। যেমন লেবু, কমলালেবু, আমলকী বেশি করে খান। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ভিটামিন সি সাহায্য করে।