হেডফোন ব্যবহারে যে মারাত্মক রোগ হতে পারে
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৯ পিএম
গত মাসে বলিউডের গায়িকা অলকা ইয়াগনিক ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। পোস্টে তিনি জানান তার একটি বিরল রোগ রয়েছে।
জানা গেছে, সংক্রমণের কারণে তার ‘রেয়ার সেন্সরি নিউরো নার্ভ হিয়ারিং লস’ রোগ হয়েছে। তারমানে হঠাৎ তিনি শুনতে পারছেন না।
সব সময় কানে হেডফোন ব্যবহারে এই মারাত্মক রোগটি আপনারও হতে পারে।
শ্রবণশক্তি কমে যাওয়ার প্রসঙ্গে ভারতের পুনের কান, গলা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মিলিন্দ জানান গুরুত্বপূর্ণ নানা তথ্য।
তিনি জানান, শ্রবণশক্তি কমে যাওয়ার কিছু কারণ-
১. ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণ।
২. কান বা মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ কমে যাওয়া।
৩. মস্তিষ্কে টিউমার থাকতে পারে।
অধ্যাপক ড. মিলিন্দ ভোই আরও বলেন, চিকিৎসার আগে এমআরআই মস্তিষ্ক এবং অডিওমেট্রি অর্থাৎ শ্রবণশক্তি পরীক্ষা করা উচিত। এই পরীক্ষার পর আমরা সঠিক কারণ জানতে পারব, সেই অনুযায়ী আমরা চিকিৎসা নিতে পারব।
ড. মুরারজি ঘাডগে বলেন, ভাইরাস যেমন হারপিস সিমপ্লেক্স, হাম, মাম্পস এবং ভেরিসেলা-জোস্টার ভাইরাস বিভিন্ন সংক্রমণের কারণ হতে পারে। এই ভাইরাসগুলি শোনার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে, যার ফলে হঠাৎ শ্রবণশক্তি হ্রাস পায়।
তিনি বলেন, যদি কোনও ভাইরাসের কারণে শ্রবণশক্তি হ্রাস পায়, তাহলে চিকিৎসার মধ্যে উচ্চ-ডোজ কর্টিকোস্টেরয়েড অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে, যা প্রদাহ এবং অভ্যন্তরীণ কানের ফোলা কমায়। সংক্রামক রোগের সন্দেহ হলে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধগুলি উপকারী হতে পারে, তবে অগত্যা কার্যকর নয়।
তিনি আরও বলেন, প্রায় ৩০-৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে প্রথম দুই সপ্তাহে পার্থক্য দেখায়। কিছু রোগী তিন মাস পরে পার্থক্য দেখতে পান, তাই লক্ষণগুলি দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা করা গুরুত্বপূর্ণ।
ড. ঘাডগে বলেন, সার্বিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া, উচ্চ শব্দ থেকে কানকে রক্ষা করা, কানের কোনও ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা; উপরন্তু, সংক্রামক রোগের কারণে শ্রবণশক্তি হ্রাস হলে সময়মত টিকা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
অধ্যাপক ড. মিলিন্দ ভোই বলেছেন, যারা সবসময় হেডফোন ব্যবহার করেন, কানে হেডফোন লাগিয়ে ঘুমান, তীব্র শব্দের কারণে তাদের কানের পর্দায় সরাসরি প্রভাব পড়ে, যার ফলে শ্রবণশক্তি নষ্ট হতে পারে।