▶ শান্ত ও স্থির থাকুন : আতংকিত না হয়ে শান্ত থাকার চেষ্টা করুন। বেশি নড়াচড়া করলে বিষ দ্রুত সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
▶ আক্রান্ত অংশ নিচু রাখুন : কামড়ানো অংশটি যতটা সম্ভব নিচুতে রাখুন। তবে হৃৎপিণ্ডের সমান উচ্চতায় রাখতে হবে।
▶ আক্রান্ত অংশ স্থির রাখুন : আক্রান্ত অঙ্গটি নাড়াচাড়া না করে স্থির রাখার চেষ্টা করুন।
▶ বিষ অপসারণের চেষ্টা করবেন না : কামড়ানো জায়গা চুষে বিষ বের করার চেষ্টা করবেন না এবং কাটাকাটি করবেন না।
▶ ব্যান্ডেজ : সাপে কামড়ানোর স্থানে ফার্মেন্টেশন ব্যান্ডেজ প্রয়োগ করতে পারেন। এটি বিষ ছড়িয়ে পড়া ধীর করবে।
▶ চিকিৎসা কেন্দ্রে যান : যত দ্রুত সম্ভব কাছের হাসপাতালে বা চিকিৎসা কেন্দ্রে যান। রাসেল’স ভাইপারের কামড় মারাত্মক হতে পারে, তাই দ্রুত অ্যান্টিভেনম প্রয়োজন হতে পারে।
▶ অ্যান্টিভেনম : ডাক্তার অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ করবেন। এটি বিষের প্রভাব কমাবে।
▶ নিরীক্ষা ও চিকিৎসা : ডাক্তার আক্রান্ত ব্যক্তিকে পর্যবেক্ষণে রাখবেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেবেন, যেমন-বেদনানাশক, তরল প্রদান ও অন্যান্য সাহায্যকারী চিকিৎসা।
* সতর্কতামূলক পদক্ষেপ
▶ স্থানীয় চিকিৎসার ব্যবস্থাপনা : স্থানীয় ওষুধ বা ওঝা-কবিরাজের ওপর নির্ভর না করে আধুনিক চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত।
* প্রতিরোধ
সাপের কামড় থেকে বাঁচতে ঘন ঘাস, ঝোপঝাড় বা অন্ধকার স্থানে যেতে সতর্ক থাকতে হবে, বুট ও লম্বা পোশাক পরতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত এবং সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। যথাযথ চিকিৎসা না করলে রাসেলস ভাইপারের কামড় প্রাণঘাতী হতে পারে।
লেখক : ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিশেষজ্ঞ।