হজ পালনের উদ্দেশ্যে দেশত্যাগ করার আগে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মেডিকেল সেন্টারে টিকা নেওয়ার সময় প্রস্রাবের রুটিন পরীক্ষা, রক্তের গ্রুপ ও টাইপ, রক্তের সুগার, বুকের এক্স-রে, ইসিজি ও কিডনির সিরাম ক্রিয়েটিনিন টেস্ট করে সেন্টারে জমা দিন। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মেডিকেল সেন্টারে কর্মরত মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য কর্তৃক স্বাক্ষরিত ফর্ম নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা ও মেনিনজাইটিসের টিকা গ্রহণ করুন। টিকা গ্রহণ শেষে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে তথ্য হালনাগাদ নিশ্চিত করে আন্তর্জাতিক হেলথ কার্ড সংগ্রহ করুন।
* যেসব ওষুধ সঙ্গে নেবেন
ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, হাঁপানি অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী সব ওষুধসহ (৪০ থেকে ৪৫ দিনের জন্য) প্রেসক্রিপশনটি সঙ্গে বহন করুন। এছাড়াও হজ যাত্রীরা জ্বর ও ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল, সর্দি, হাঁচি, কাশি ও অ্যালার্জির জন্য ফেক্সোফেনাডিন, এসিডিটির জন্য ওমিপ্রাজল, শরীর ব্যথার জন্য ন্যাপ্রোক্সেন, মাংসপেশির ব্যথা ও শিথিলের জন্য টলপেরিসন, ডায়য়িরা ও ঘামের জন্য শরীর দুর্বলতার জন্য ওরস্যালাইন, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, কাশির জন্য মন্টিলুকাস্ট, গলা বুক জ্বালাপোড়ার জন্য এন্টাসিড ও ত্বকে ফাঙ্গাসের সংক্রমণের জন্য এন্টি ফাঙ্গাল ক্রিম সঙ্গে নিতে পারেন।
* মহিলা হজযাত্রীদের জন্য পরামর্শ
গর্ভবতী, ঋতুবতী নারী বা ভারী শারীরিক গঠনের নারীরা সতর্ক হয়ে হজের আচার-অনুষ্ঠান সম্পাদন করুন। ঋতুবতী নারী যদি মাসিক বন্ধ করার খাবার ওষুধ ব্যবহার করতে চান তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করুন; নিজ শরীরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওষুধ নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। উপযুক্ত ওষুধ ও তার সঠিক ডোজ জেনে নিতে হজে যাওয়ার আগে একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
এছাড়া বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সৌদি আরবে তিনটি মেডিকেল সেন্টার (মক্কা, মদিনা ও জেদ্দা) স্থাপন করা আছে। মেডিকেল সেন্টারগুলোর মাধ্যমে হাজিদের আউটডোর ও ইমার্জেন্সি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয় এবং প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী সব ওষুধ প্রদান করা হয়।
লেখক: ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন বিশেষজ্ঞ।