Logo
Logo
×

ডাক্তার আছেন

থাইরয়েড রোগের ৭০ শতাংশই বংশগত: গবেষণা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৩, ১১:০৭ পিএম

থাইরয়েড রোগের ৭০ শতাংশই বংশগত: গবেষণা

ছবি: যুগান্তর

থাইরয়েড রোগের ৭০ শতাংশই বংশগতভাবে বিস্তার করে। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউটের অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েন্স সাইন্স (নিনমাস) আয়োজিত জেনেটিক্স অব থাইরয়েড ডিজঅর্ডার শীর্ষক সেমিনারে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন থাইরয়েড সোসাইটির সাইন্টিফিক সেক্রেটারি অ্যধ্যাপক ডা. নাসরিন সুলতানা। তিনি বলেন, জন্মের দুই সপ্তাহের মধ্যে থাইরয়েড শনাক্ত করা গেলে জন্মগত ত্রুটি চিকিৎসা করে একটি শিশুকে সুস্থ্য ও স্বাভাবিক জীবনে ফেরানো সম্ভব। এজন্য সরকারিভাবে শিশু জন্মের পর স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক করা দরকার। 

বিশ্বের উন্নত সব দেশেই শিশু জন্মের পর শিশুর সব ধরনের ত্রুটি নির্ণয়ে স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এখনো সেটি না হওয়ায় জন্মগত ত্রুটি শনাক্তে দেরি হয়ে যায়। যখন শনাক্ত হয়, তখন আর চিকিৎসা কারে খুব বেশি ফল পাওয়া যায় না। ফলে অনেক শিশু বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হিসেবে বেড়ে ওঠে যা সমাজ ও দেশের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। 

অনুষ্ঠানে নিনমাসের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সাদিয়া সুলতানা জানান, শরীরের স্বাভাবিক বেড়ে ওঠার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে থাইরয়েড, এই অঙ্গ কোনোভাবে ত্রুটিযুক্ত হলে একটি শিশু স্বাভাবিক বেড়ে উঠতে পারে না। তবে সব ধরণের থাইরয়েড ডিজঅর্ডার শনাক্ত করা এখন সম্ভব। এজন্য জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে ত্রুটিযুক্ত কোষগুলো শনাক্ত করার প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্দিষ্ট জিন শনাক্ত করা যায় তাহলে দ্রুত এবং কম সময়ে নির্দিষ্ট ওষুধে একজন শিশুকে সুস্থ করা সম্ভব হবে।

সেমিনারে বাংলাদেশ অ্যাটোমিক অ্যানার্জি কমিশনের মাধ্যমে জেনেটিক সিকোয়েন্সিং ল্যাব তৈরি হচ্ছে বলে জানান কমিশনের চেয়ারম্যান ও অ্যধ্যাপক ডা. শামীম মমতাজ ফেরদৌসী। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিনমাস ও চট্টগ্রাম নিনমাসে দুটি ল্যাব স্থাপনের পরিকল্পনা পাশ হয়েছে। এসব ল্যাব চালু হলে দ্রুত ত্রুটিযুক্ত জীন শনাক্ত করে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে। 

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থাইরয়েড সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক ডা. ফরিদুল আলম জানান, জিন যেমন মানুষের শারীরতাত্ত্বিক বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করে তেমনি মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্য কেমন হবে সেটিও নিয়ন্ত্রণ করে। এখন সময় এসেছে জিনোম সিকোয়েন্সিং করে টার্গেট জীনকে নিয়ন্ত্রণ বা অপসারণ করা গেলে বংশ পরম্পরায় যেসব রোগ চলে আসে সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ অ্যাটমিক অ্যানার্জি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যধ্যাপক ডা. এমএ করিম, বাংলাদেশ থাইরয়েড সোসাইটির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. মিজানুল হাসান, থাইরয়েড সোসাইটির ট্রেজেরার ফাতেমা বেগম, থাইরয়েড সোসাইটির জয়েন্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. ফজলুল বারি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম