পুরুষের জন্য জন্মনিরোধক পিল না থাকার অদ্ভুত যত কারণ
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৪:২৬ পিএম
পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার কারণ দেখিয়ে পুরুষের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি বরাবর এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে বহু বছর ধরে। তাতে জন্মনিয়ন্ত্রণের পুরো দায়িত্ব পড়ে নারীর ওপর। কিন্তু পুরুষের জন্য জন্মনিরোধক তৈরিতে এত বাধা কেন?
মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে এক তরুণ নিজের ব্রিবতকর অভিজ্ঞতা খুলে বলে। সিজোফ্রেনিয়ার চিকিৎসায় থিওরিডেজিন ওষুধে সেবন করতে হতো ওই তরুণকে। একসময় তিনি অবাক হয়ে খেয়াল করেন, তার যৌন জীবন শুকিয়ে যাচ্ছে। তিন দশক পর ওই ঘটনা নতুন উদ্ভাবনের প্রেরণা হয়ে ওঠে। ওই ওষুধের মতো কোনো একটি ওষুধ কি তবে পুরুষের জন্য জন্মনিরোধক বড়ির মতো কাজ করবে?
শেষ পর্যন্ত গবেষকরা আরেকটি ওষুধের খোঁজ পেলেন, যা বীর্যপাত কমাতে সক্ষম। ফেনোজিবেনজামিন হলো সেই ওষুধ, যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সুস্থ পুরুষের সেবনের জন্য এসব কোনো ওষুধই উপযুক্ত নয়।
পুরুষের জন্য নিরাপদ ও কার্যকর বড়ি তৈরি করতে পারলে নারীদের এককভাবে জন্মনিরোধ প্রক্রিয়া অবলম্বনের দায় থেকে মুক্তি দিতে পারে। এতে প্রতি বছর লাখ লাখ অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ রোধ করা সম্ভব।
কিন্তু অনেক পুরুষের কাছে ওই অদৃশ্য বীর্যপাত প্রক্রিয়া কোনো আবেদন বহন করল না। তাদের একাংশের কাছে মনে হলো— এতে করে পুরুষত্বহীন করা হবে তাদের।
অবশ্য সম্প্রতি ইঁদুরের ওপর গবেষণা চালিয়ে চমকে দেওয়ার মতো তথ্য পেয়েছেন গবেষকরা।
নতুন এক পিল তারা তৈরি করেছেন যা ঘণ্টা দুয়েকের জন্য শুক্রের সাঁতার কাটার ক্ষমতা বন্ধ রাখবে, কিন্তু পুরুষের হরমোনের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।
এই উদ্ভাবন পুরুষের পিল নিয়ে এতদিনের অচলায়তন ভাঙার সম্ভাবনা রাখলেও মানুষের ব্যবহারে এর অনুমোদন পেতে আরও অনেক সময় লেগে যাবে।
গত অর্ধ শতকে পুরুষের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির অসংখ্য উপায় প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু মানুষের ওপর প্রয়োগ করে পরীক্ষার মধ্যে দিয়েও গেছে।
এর পর প্রতিটি চেষ্টাই কোনো না কোনো দেয়ালে গিয়ে আটকেছে। নিরাপদ ও কার্যকর বড়ির বেলাতেও বলা হয়েছে, এর অবাঞ্ছিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে।