হাঁটলে সারা শরীরের ব্যায়াম হয়। খোলা হাওয়ায় হাঁটলে মন ভালো হয়। পায়ের পেশি মজবুত হয়, হৃদ্যন্ত্র ভালো থাকে। তবে সেই হাঁটার সঙ্গে স্বাভাবিক ছন্দে হাঁটার তফাত রয়েছে। কারণ আপনি সকাল-বিকাল হাঁটছেন, ঘামও ঝরাচ্ছেন কিন্তু ওজন কমছে না!
খেয়ে উঠে হেলতে-দুলতে বাড়ি থেকে বাসস্ট্যান্ডে যাওয়া কিংবা বাস থেকে নেমে অফিসে যাওয়া পর্যন্ত যেটুকু হাঁটা হয়, তা ক্যালোরি পোড়ানোর জন্য যথেষ্ট নয়। ঠিক কীভাবে হাঁটলে, কতটা হাঁটলে ওজন বশে থাকবে, সেই হাঁটারও রকমভেদ আছে। শরীরচর্চার লক্ষ্য ঠিক করে, বুঝে নিতে হবে কোন পদ্ধতির হাঁটায় আপনার লাভ হবে।
স্বাভাবিক গতির চেয়ে দ্রুতগতিতে হাঁটার নাম হলো ‘পাওয়ার ওয়াকিং’। আপনি এমনভাবে হাঁটবেন যেন হার্ট রেট বা হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়। তবেই ক্যালোরি ঝরবে। একটানা এভাবে হাঁটলে অনেক সময়ে শ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে। তাতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
ইনক্লায়িং ওয়াকং দ্রুত ক্যালোরি ঝরাতে সাহায্য করে। পায়ের বা ঊরুর পেশির গঠন মজবুত করতেও সাহায্য করে। আর ‘ইন্টারভাল ওয়াকিং’ একটানা দ্রুতগতিতে হাঁটলেন মিনিট চারেক। তার পর হাঁটার গতি কমিয়ে দিলেন। মিনিট দুয়েক এই ভাবে হাঁটলেন। শরীরের অবস্থা বুঝে আবার গতি বাড়িয়ে দিলেন। এভাবে হাঁটলেও কিন্তু ক্যালোরি ঝরে। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।