ভিটামিন ডি’র ঘাটতি পূরণে সবচেয়ে সহজ আর দ্রুত কাজ করে সূর্যস্নান। নিয়মিত বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে ১৫ মিনিট সূর্যস্নান করা গেলে শরীরের ৭০ ভাগ ভিটামিন ডি’র চাহিদাই পূরণ হয়ে যায়।
রমজান মাস চলছে, এ মাসে সেহরির পর লম্বা সময় পর্যন্ত ঘুমাতে পছন্দ করেন অনেকেই। ফলে শরীরে সকালের রোদ না লাগায় ভিটামিন ডি’র ঘাটতি থেকে যায়।
রমজানে কিভাবে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি থেকে শরীরকে রক্ষা করা যায় তা দেওয়া হলো। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
১. শরীরে রোদ লাগানো
পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি গ্রহণের সর্বোত্তম উপায় হলো শরীরে সূর্যের আলো লাগানো। যাকে ‘সানশাইন ভিটামিন’ হিসেবেও উল্লেখ করা হয়। ভিটামিন-ডি সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসার পর ত্বকে সংশ্লেষিত হয়।
সুতরাং, রোদে বের হওয়া ভিটামিন-ডি এর মাত্রা বাড়ানোর সবচেয়ে প্রাকৃতিক ও কার্যকর উপায়গুলোর মধ্যে একটি। যখন ত্বক সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসে, তখন এটি ভিটামিন-ডি৩ সংশ্লেষিত করে। ১০ থেকে ৩০ মিনিট রোদে কাটালে আপনার দেহে ভিটামিন-ডি এর ঘাটতি অনেকটাই কমে যাবে।
২. ভিটামিন-ডি গ্রহণ
আপনার শরীরে যদি সূর্যের আলো লাগানো সম্ভব না হয় বা ডিম খেতে না পারেন তাহলে ভিটামিন-ডি সাপ্লিমেন্ট হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। ভিটামিন ডি সম্পূরকগুলো বিভিন্নভাবে পাওয়া যায়, যেমন ভিটামিন ডি-২ এবং ডি-৩ ট্যাবলেট বা পাউডার।
এগুলো মুখে খেলে শীতকালে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা বাড়বে। তবে ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৩. ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ
ভিটামিন ডি বাড়ানোর অন্যতম ভালো উপায় হলো ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ। ভিটামিন ডি’র চমৎকার প্রাকৃতিক উৎস হলো- স্যামন, ম্যাকেরেল ও টুনার মতো চর্বিযুক্ত মাছ।
এছাড়াও ফোর্টিফাইড দুধ, কমলালেবুর রস এবং দইয়ের মতো শক্তিশালী খাবারও আপনার দেহে ভিটামিন ডি’র চাহিদা পূরণ করতে পারে। তাই খাদ্য তালিকায় মাছের তেল, দুগ্ধজাত পণ্য এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ বাড়ালে তা শরীরের ভিটামিন ডি’র ঘাটতি পূরণ করে।
ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের মতে, ভিটামিন ডি-এর সেরা খাদ্য উৎস হলো স্যামন, ম্যাকেরেল এবং সার্ডিনসহ তৈলাক্ত মাছ। অন্যান্য উৎসগুলোর মধ্যে রয়েছে ডিমের কুসুম, লাল মাংস ও কলিজা।
নিয়মিত ডিমের কুসুম খেলে ভিটামিন-ডি এর ঘাটতি কমে যাবে। ডিম সিদ্ধ বা অন্য যে কোনো উপায়ে খেলেও তা ভিটামিন-ডি বাড়াতে সাহায্য করবে।