চিকিৎসক বা পালমোনোলজিস্ট রোগীর জন্য একটি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা তৈরি করবেন যাতে নিম্নলিখিত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলো থাকবে :

▶ অ্যাজমা অ্যাকশন প্ল্যান অনুসরণ করুন

ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যসেবা দলের সাহায্যে রোগের আক্রমণ পরিচালনা করতে নির্ধারিত ওষুধ খান। এটি একটি ক্রমাগত অসুস্থতা যার নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং চিকিৎসার প্রয়োজন।

▶ ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার জন্য টিকা নিন

রোগ বৃদ্ধিকারী উপাদানগুলো প্রতিরোধ করার জন্য ফ্লু এবং নিউমোনিয়ার জন্য টিকা দেওয়া হয়।

▶ রোগ বৃদ্ধির কারণগুলো শনাক্ত করুন এবং এড়িয়ে চলুন

পরাগ থেকে বায়ু দূষণ পর্যন্ত বেশ কিছু অ্যালার্জেন এবং অস্বস্তিকর বস্তু এর আক্রমণকে উদ্দীপিত করবে।

▶ শ্বাস নিরীক্ষণ করুন

বাড়ির পিক ফ্লো মিটার শ্বাসপ্রবাহের পরিমাপ এবং রেকর্ড করতে ব্যবহৃত হয়। কাশি, শ্বাসকষ্ট বা শ্বাসকষ্ট আক্রমণের সতর্কতা উপসর্গ হিসাবে স্বীকৃত এবং অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

▶ প্রাথমিকভাবে আক্রমণ শনাক্ত করুন এবং চিকিৎসা করুন

আক্রমণগুলো শনাক্ত করা এবং প্রাথমিক চিকিৎসা করলে একজন ব্যক্তির গুরুতর আক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা কমে। যখন আপনার পিক ফ্লো পরিমাপ কমে, এটি আসন্ন আক্রমণের সতর্কতা। নির্দেশ মতো ওষুধগুলো খান এবং অবিলম্বে আক্রমণের কারণ হতে পারে এমন কোনো কার্যকলাপ বন্ধ করুন। যদি আপনার উপসর্গের উন্নতি না হয়, তাহলে আপনার কর্ম পরিকল্পনায় নির্দেশিত চিকিৎসা সহায়তার চেষ্টা করুন।

নির্দেশিত ওষুধ সেবন করুন

লক্ষণগুলো উন্নতি হচ্ছে বলে মনে হলে, ডাক্তারের মতামত ছাড়া কখনই ওষুধ পরিবর্তন করবেন না। প্রতিটি মেডিকেল ভিজিটের জন্য ওষুধগুলো নিয়ে যান যাতে ডাক্তার ওষুধের ব্যবহার পরীক্ষা করে এবং সঠিক ওষুধ নিতে সহায়তা করে।

▶ দ্রুত-আরাম লাভের জন্য ইনহেলারের বর্ধিত ব্যবহারে মনোযোগ দিন

যদি কোনো ব্যক্তি অ্যালবুটেরলের মতো দ্রুত-আরামদায়ী ইনহেলারের ব্যবহার বৃদ্ধি লক্ষ্য করেন, তবে বুঝবেন অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে নেই। সেক্ষেত্রে ডাক্তার চিকিৎসা সামঞ্জস্য করে দিবেন।

লেখক : মেডিসিন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, উত্তরা, ঢাকা।