ডেঙ্গু রোগীর ডায়েট কেমন হবে
অধ্যাপক ডা. মো. ফয়জুল ইসলাম চৌধুরী
প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ডেঙ্গু রোগীরা তরল খাবার, নরম এবং সহজপাচ্য খাবার, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এমন খাবার, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে এমন খাবার, রক্তে প্লাটিলেট ও লিম্ফোসাইট বাড়ায় এমন খাবার গ্রহণ করবেন।
খাদ্যতালিকা থেকে তৈলাক্ত ও মসলাযুক্ত খাবার, প্রক্রিয়াজাত (ক্যান এবং প্যাকেটজাত ফলের রস) খাবার, স্যাচুরেটেড ফ্যাট জাতীয় খাবার, সফ্ট ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার ও কাঁচা শাকসবজি বাদ দিতে হবে।
তরল খাবারের মধ্যে ডাবের পানি, নারিকেলের পানি, স্যালাইন (ORS, স্যুপ, তাজা ফলের রস (কমলার রস, ডালিমের রস), আদাজল (বমির ভাব কমায়) ইত্যাদি খাবেন।
ডেঙ্গুজ্বরে রক্তনালি থেকে জলীয় অংশটুকু বের হয়ে যায় তা পূরণ করার জন্য তরল খাবার খাবেন। নরম ও সহজপাচ্য খাবার হলো- জাউভাত, সিদ্ধ খাবার, সবুজ শাকসবজি, দই, মাছ (শিং মাছ রোগীর পথ্য হিসাবে বেশ পরিচিত)। ডেঙ্গুজ্বরে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। লিভার আক্রান্ত হওয়ার ফলে তার কার্যকারিতা কমে যায়। পরিপাকতন্ত্রের খাদ্যকে দলিতমথিত করার ক্ষমতা কমে যায়। বিপাক রস কমে যায়। তাই শক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো।
ডেঙ্গুজ্বরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো অতি জরুরি। তাই যেসব খাদ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে তা খেতে হবে। যেমন-প্রোটিন, মুরগির স্যুপ। ফলের মধ্যে আপেল, আমড়া, কলা, কমলা ও পেঁপে খাবেন। ভিটামিন সিযুক্ত খাবার খাবেন। যেমন-আমড়া, পেঁপে, কমলার রস ও পেয়ারা।
প্লাটিলেট কাউন্ট বৃদ্ধি করে এমন খাবার খাবেন। এর মধ্যে রয়েছে- ডালিমের রস, কালো আঙুরের রস, সবুজ শাকসবজি (সিদ্ধ), তাজা ফলমূল, গাজর, চর্বি ছাড়া মাংস, রসুন, জিং, ভিটামিন বি১২, পেঁপে গাছের পাতা। এছাড়া ভিটামিন ‘কে’ সমৃদ্ধ খাবারও খেতে হবে। এগুলো হলো- পালংশাক, ব্রকলি, বাঁধাকপি, লেটুস পাতা।
লিম্ফোসাইট বৃদ্ধি করে এমন খাবার হচ্ছে-আনারস, কমলা, পেয়ারা, স্ট্রবেরি, কিউই জাতীয় ফল লিম্ফোসাইট উৎপাদন বাড়ায়।
লেখক : সাবেক ইউনিট প্রধান, মেডিসিন বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।