শরীর সুস্থ, সবল ও ভালো রাখার জন্য যেমন ভিটামিনের প্রয়োজন হয়, তেমনই প্রয়োজন হয় খনিজেরও। আর শরীরকে ঠিক রাখতে তাই ম্যাগনেশিয়ামের প্রয়োজন হয়। এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে— ম্যাগনেশিয়াম। এই খনিজের অভাব হলে ক্লান্তি, হাড় ক্ষয়ে যাওয়াসহ নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

আর আপনার শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের অভাব ঘটলে ক্লান্তি, অনিদ্রা ও হাড়ের ক্ষয়ের কারণে গায়ে ব্যথা নিত্যসঙ্গী হতে পারে। হাতের কাছে থাকা কলা, পালংশাক, কাঠবাদাম ও ডার্ক চকোলেট খাবারই আপনার খনিজের ঘাটতিপূরণ করে থাকে। এসব খাবার খেলে ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি দূর করা সম্ভব।

যদি আপনার ঘুম না হয়, তাহলে আপনার খিদে কমে যায়। সে কারণে হাড় ভঙ্গুর হওয়ার মতো সমস্যা সমাধানের জন্য ম্যাগনিশয়াম খুবই জরুরি। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় বেশি বেশি সবজি থেকে ফল রাখলে শরীর সুস্থ থাকবে এবং ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি দূর হবে।

আপনি নিয়মিত কলা খান। কারণ কলায় প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম থাকে। এ ছাড়া থাকে পটাশিয়াম ও ভিটামিন সিও। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় একটি করে কলা রাখলে শুধু ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিই দূর হবে না, উপকার মিলবে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও। শরীরে পুষ্টি জোগাতে কলা খুবই উপকারী। কলা সরাসরিও খেতে পারেন। তবে ওটসের সঙ্গে স্মুদি হিসাবে খেলে বাড়তি পুষ্টি যোগ হবে।

আর পালংশাক ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি পূরণে কার্যকর ভূমিকা রাখে। পালংশাকে শুধু ম্যাগনেশিয়াম নয়, আয়রন, ভিটামিন এ ও সি থাকে। পালংশাক দিয়ে স্মুদি বানিয়ে নিতে পারেন এবং সবজি হিসাবে খেতে পারেন। সালাদেও খাওয়া যায় এটি। তবে উচ্চ তাপমাত্রায় বেশি তেল-মসলা দিয়ে রান্না করলে এর যথাযথ পুষ্টিগুণ মিলবে না।

অন্যদিকে কাঠবাদাম ম্যাগনেশিয়ামের আরও একটি উৎস। এত রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটও। কাঠাবাদাম ভিজিয়ে খেলে উপকার বেশি। সালাদ ছাড়াও এমনিও খেতে পারেন কাঠবাদাম।

এ ছাড়া ডার্ক চকোলেটে আছে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম। এতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও। ডার্ক চকোলেট মন ভালো রাখতেও সাহায্য করে। তবে বেশি নয়, এক টুকরো খেতে পারেন। প্রতিদিন ডার্ক চকোলেট না খেয়ে মাঝেমধ্যে পরিমিত পরিমাণে খেলেই ভালো।