Logo
Logo
×

সুস্থ থাকুন

ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসায় ভিটামিন ডি

Icon

অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান

প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসায় ভিটামিন ডি

ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসায় ভিটামিন ডি

ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যুর অন্যতম কারণ হলো, হেমোরেজিক ফিভার ও শক সিনড্রোম। এক্ষেত্রে রক্তনালি থেকে প্লাজমা বের হয়ে যায়। এতে শরীরে তরল পদার্থের পরিমাণ কমে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ আক্রান্ত হয়ে কার্যকারিতা হারিয়ে রোগীর মৃত্যু হয়। ভিটামিন ডি আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রণ করে, বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ও দ্রুত রোগমুক্তিতে ভূমিকা রাখে। এছাড়া ভিটামিন ডি মানবদেহে ডেঙ্গু আক্রান্ত কোষের পরিমাণ কমায়, যা প্রকারান্তরে বিভিন্ন প্রো-ইনফ্লেমেটরি সাইটোকাইনসের নিঃসরণ কমায়। ফলে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা হ্রাস পায় ও যা শরীরে দ্রুত ভাইরাস বৃদ্ধি হতে বাধা দেয় এবং ডেঙ্গুর ভয়াবহতা কমাতে সহায়তা করে।

যাদের শরীরে দৈনিক চার হাজার ইউনিট হারে দশ দিন অথবা এক ডোজ দুই লাখ ইউনিট ভিটামিন ডি দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে মারাত্মক ডেঙ্গু হওয়ার আশঙ্কা অন্যদের তুলনায় কম দেখা গেছে। যেহেতু ভিটামিন ডি ডেঙ্গু জ্বরের ভয়াবহতা কমাতে সহায়তা করে, তাই আমাদের লক্ষ্য হবে, ডেঙ্গু আক্রান্ত সবার শরীরে যেকোনো উপায়ে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি’র জোগান নিশ্চিত করা। শরীরের মোট চাহিদার ৮০ শতাংশ ভিটামিন ডি আসে সূর্যের আলো থেকে। ২০ শতাংশের কম আমরা পেতে পারি খাদ্য উপাদান থেকে, যেমন- মাগুর, স্যামন মাছ, দুধ ও ডিমে। মূলত ভিটামিন ডি পেতে হলে অবশ্যই ত্বকে সরাসরি সূর্যের আলো লাগাতে হবে। প্রতিদিন ২০-৩০ মিনিট সূর্যের আলোতে থাকলেই চলে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২ টার মধ্যে যে সময়টা, সে সময়ের রোদ ভিটামিন ডি’র খুব ভালো উৎস। সেক্ষেত্রে পোশাক বা সানস্ক্রিন সরাসরি ত্বকে ভিটামিন ডি তৈরিতে বাধা দেয়। তাই মুখে সানস্ক্রিন মেখে বের হলেও হাত-পা বা শরীরের অন্য কোনো স্থান যেন উন্মুক্ত থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

লেখক : মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ, হেল্থকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লি., শ্যামলী, ঢাকা।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম