
প্রিন্ট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৪২ পিএম
মজা করে বৃষ্টিতে ভিজে জ্বর সর্দিকাশি এনেছেন, যেভাবে ঝুঁকি এড়াবেন

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৪, ১০:৫২ এএম

আরও পড়ুন
বর্ষাকালে মজা করে বৃষ্টিতে ভিজে জ্বর, সর্দিকাশি এনেছেন। বৃষ্টির পানিতে ভিজে শরীর প্রচণ্ড খারাপের দিকে নিয়ে গেছেন। এ সময়ে রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা সবার এক থাকে না। কারও কারও বৃষ্টির পানিতে শরীরের ধারণক্ষমতা কমতে থাকে। এতে দেখা যায় বৃষ্টির পানিতে ভিজে ঠান্ডা লেগে জ্বর, সর্দিকাশি সবসময় লেগেই আছে।
এ সময় যদি আপনার শরীরের প্রতি বিশেষ যত্ন না নিয়ে থাকেন, তাহলে বড় ধরনের রোগ সৃষ্টি হবে।
বৃষ্টিতে ভিজে বাড়িতে আসার পর আগেই আদা ও তুলসী পাতা দিয়ে চা খাওয়ার চেষ্টা করুন। আদা ও তুলসী পাতা খেলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে। রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতাও বাড়বে। আর জ্বর, সর্দিকাশির ঝুঁকি কমবে। কারণ আদা ও তুলসী পাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য থাকে, যা রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়।
আপনি চাইলে হলুদ ও দুধ পান করুন। কারণ এতে সর্দিকাশির ঝুঁকি কমাবে। হলুদ ও দুধে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিসেপটিক ও আন্টি ইনফ্লেমেন্টরি বৈশিষ্ট্য থাকে, যা রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। তাই এক গ্লাস গরম দুধ দিয়ে আপনি হলুদ খেতে পারেন।
যদি আপনি বৃষ্টিতে ভিজে যান, দ্রুত জামাকাপড় খুলে ফেলুন। এরপর আপনি আবার গোসল করুন। ভালোভাবে গা শুকিয়ে জামাকাপড় পরুন। এতে আপনার ঠান্ডাও লাগবে না, আবার জ্বর-সর্দিকাশিও হবে না। শরীরও ভালো থাকবে। যদি সম্ভব হয় গোসল করে এক কাপ গরম দুধ কিংবা এক কাপ চা খান।
আপনি অবশ্যই গরম পানি দিয়ে গোসল করবেন। এতে আপনার শরীর গরম থাকবে। ঠান্ডা লাগার ঝুঁকি থাকবে না। কারণ ঠান্ডার কারণে সংক্রমণ বাড়ে। শরীর গরম থাকলে আপনার সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই কমে আসবে।
এ ছাড়া আপনি গরম জলের ভাপ নিতে পারেন। গরম জলের ভাপ নিলে আপনার গলা ও নাকে যদি কোনো ব্যাকটেরিয়া ঢুকে থাকে, তাও দ্রুত মরে যাবে। সেই সঙ্গে আপনার নাক বন্ধ থাকলে তাও খুলবে। এবং ঠান্ডা লাগার ঝুঁকি কমবে।
এসব কাজ করার পর আপনি অবশ্যই শরীরকে বিশ্রাম দেবেন। ভালোভাবে ঘুমাবেন। ভালোভাবে ঘুমালে রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ে। যত ঘুমাবেন তত আপনার শরীর ভালো থাকবে। আপনার আর ক্লান্ত লাগবে না।
বি.দ্র: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।