সর্দিজ্বর হলে তা একসময় ওষুধ খেয়ে সেরে যায়। থেকে যায় মুখের অরুচি। কোনো খাবারই মুখে ভালো লাগে না। মুখের স্বাদ ফেরাতে এ সময় পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি। মুখের স্বাদ ফেরাতে যে খাবারগুলো আপনার শরীর ভালো রাখবে এবং তুষ্ট হতে পারে জিভ, তাই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আপনি খেতে পারেন ভিটামিন ও প্রোটিনে ভরপুর সুইট কর্ন। এতে আছে ভিটামিন সি, এ ও বি। সুইট কর্ন সিদ্ধ করে তার সঙ্গে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে, বিট লবণ, পেঁয়াজ, কাঁচালংকা মাখিয়ে চাট বানিয়ে নিতে পারেন। এরপর ছড়িয়ে দিন সামান্য চাট মসলা। মুখের রুচি ফেরাতে টক, মিষ্টি, নোনতা— এসব খাবার খেলে ভালো লাগবে। দ্রুতই স্বাদ ফেরাতে কাঁচালংকা ও লেবুর রসের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারেন।
আপনি মুখের স্বাদ ফেরাতে আলুর ভর্তা খেতে পারেন। কারণ আলুরও পুষ্টিগুণ কম নয়। কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ আলুতে রয়েছে— আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক, পটাশিয়াম। খেতে পারেন আলু সিদ্ধ করে ছোট ছোট টুকরো করুন। এরপর একটি পাত্রে মাখন দিয়ে আলু হালকা ভেজে ওপর থেকে গোলমরিচ ছিটিয়ে দিন। খুব সহজ রান্না। কিন্তু অরুচির মুখে এ ধরনের খাবার বেশ সুস্বাদু লাগে।
আরও একটি খাবার রয়েছে আমসত্ত্ব। আমসত্ত্ব ভালোবাসেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বাজারচলতি আমসত্ত্ব তো রয়েছেই। চাইলে বাড়িতেও সহজেই বানিয়ে নিতে পারেন। পাকা আমের শাঁস বার করে কড়াইতে দিয়ে ক্রমাগত নাড়তে হবে। দিতে হবে স্বাদমতো চিনি। স্বাদের জন্য এক চিমটে লবণও ফেলে দিতে পারেন। মিশ্রণটি ঘন হয়ে এলে একটি থালায় তেল মাখিয়ে তা ঢেলে দিন। কড়া রোদে দুদিন শুকিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে আমসত্ত্ব।
মুখের রুচি ফেরাতে ঘি দিয়ে ভাজা রকমারি বাদামও খেতে পারেন। কারণ বাদামগুলো ঘি বা মাখনে হালকা ভেজে ওপর থেকে লবণ ও গোলমরিচ ছিটিয়ে দিলে খেতে ভালো লাগবে। ঘি দিয়ে ভাজা বাদাম আপনার মুখের স্বাদ ফিরিয়ে দেবে। এ ছাড়া খেতে পারেন আখরোট, পেস্তা, কাঠবাদাম। কাঠবাদাম শুধু ‘হেলদি ফ্যাট’ থাকে না। এতে থাকে ফাইবার, ভিটামিন ও নানা ধরনের খনিজ।