ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের সর্বোচ্চ জনপ্রিয় নায়িকা কাজী শারমিন নাহিদ নূপুর (শাবনূর)। বড়পর্দায় অভিষেকের পর প্রায় দুই দশক ঢালিউডে রাজত্ব করেছেন। অভিনয় করেছেন প্রায় আড়াই শতাধিক চলচ্চিত্রে।
বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন শাবনূর। দীর্ঘ তিন বছর পর সম্প্রতি ঢাকায় এসেছেন এই নায়িকা।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) ছিল তার জন্মদিন। এ দিন ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি রোববার রাত আড়াইটার দিকে ভক্তদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। এই অভিনেত্রী লিখেছেন- গতকাল ছিল আমার জন্মদিন। দিনভর ফোন কল, সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে আমার প্রতি বন্ধু-বান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের অসংখ্য শুভেচ্ছা বার্তা এবং ভক্তদের ভালোবাসার উচ্ছ্বাস দেখে আমি সত্যিই খুব আনন্দিত, সিক্ত ও অভিভূত হয়েছি। বিশেষ এ দিনে আমার পাশে থাকার জন্যে সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আমাকে আপনাদের প্রার্থনায় রাখুন।
১৯৯৪ সালে ঢাকাই সিনেমায় আসেন শাবনূর। জহিরুল হকের ‘তুমি আমার’ চলচ্চিত্রে সালমান শাহর বিপরীতে প্রথম অভিনয় করেন তিনি।
সালমান শাহর ২৭টি চলচ্চিত্রের মধ্যে ১৪টিতেই জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন তিনি। তাদের জুটি ঢাকাই চলচ্চিত্রের অন্যতম সফল জুটি।
সবশেষ ২০১৫ সালে ‘পাগল মানুষ’ সিনেমায় দেখা গিয়েছিল শাবনূরকে। এরপর আর কোনো সিনেমায় উপস্থিত হননি দর্শকপ্রিয় এই তারকা। সিনেমা থেকে সাময়িক দূরত্ব তৈরি হলেও এই অভিনেত্রীর জনপ্রিয়তায় একটুও ভাটা পড়েনি।
তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ২৫০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘ভালোবেসে বউ আনবো’, ‘বিক্ষোভ’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘মহামিলন’, ‘তোমাকে চাই’, ‘পৃথিবী তোমার আমার’, ‘বিয়ের ফুল’, ‘আমি তোমারি’, ‘ভালোবাসি তোমাকে’, ‘নারীর মন’, ‘এ বাঁধন যাবে না ছিঁড়ে’, ‘নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি’, ‘এ মন চায় যে’, ‘ফুল নেবো না অশ্রু নেবো’, ‘দিল তো পাগল’, ‘প্রেমের তাজমহল’, ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’, ‘স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’, ‘ভালোবাসা কারে কয়’, ‘সুন্দরী বধূ’, ‘দুই বধূ এক স্বামী’, ‘নসিমন’, ‘ব্যাচেলর’, ‘ফুলের মতো বউ’, ‘চার সতীনের ঘর’, ‘দুই নয়নের আলো’, ‘মোল্লা বাড়ির বউ’, ‘নিরন্তর, ‘আমার প্রাণের স্বামী’ ইত্যাদি।