Logo
Logo
×

ঢালিউড

ধর্ষণসহ একাধিক অভিযোগ শাকিব খানের বিরুদ্ধে, মীমাংসায় বৈঠক

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৩, ০৫:১০ পিএম

ধর্ষণসহ একাধিক অভিযোগ শাকিব খানের বিরুদ্ধে, মীমাংসায় বৈঠক

এক সহপ্রযোজককে ধর্ষণসহ নিজের বিরুদ্ধে উঠা একাধিক অভিযোগের মীমাংসা করতে বৈঠক করেছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। তবে বৈঠকে কোনো ফলপ্রসূ সমাধান হয়নি। শাকিব খানের মীমাংসার প্রস্তাবে অভিযোগকারী প্রযোজক বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত দেননি।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে গত বুধবার চিঠি দিয়ে প্রযোজক রহমত উল্লাহ তার নির্মিতব্য ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমা নিয়ে শাকিবের অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস, এক সহপ্রযোজককে ধর্ষণ এবং দায়িত্বে অবহেলার মাধ্যমে চলচ্চিত্রটির ক্ষতি সাধনের অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগের একদিন পরই বৃহস্পতিবার অভিযোগকারী প্রযোজকের সঙ্গে বসেন শাকিব। বৈঠকে সিনেমাটি শেষ করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে অভিযোগের বিষয়ে মীমাংসা করতে চেয়েছেন শাকিব খান। 

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় অভিযোগকারী প্রযোজকের সঙ্গে বসেছিলেন শাকিব। বৈঠকটির মধ্যস্থতায় ছিলেন আরেক প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু। 

প্রযোজক রহমত উল্লাহ জানান, ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ উঠার পর সেটি সমাধানের জন্য অপু বিশ্বাস শাকিবকে প্রযোজকের কাছে নিয়ে যান।

প্রযোজক রহমত উল্লাহ শাকিবের সঙ্গে বৈঠকের ব্যাপারে আরও বলেন, ‘অপু বিশ্বাস আমাকে বারবার ফোন করেন বিষয়টি মীমাংসার জন্য। তিনি শাকিব খানের সঙ্গে আমাকে দেখা করার জন্য অনুরোধ করেন। আমি পরিষ্কার বলেছি- আমার সঙ্গে দেখা করতে হলে শাকিবকে আসতে হবে। অপু কিছুক্ষণ পর শাকিবকে নিয়ে আসে।’

বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রযোজক রহমত উল্লাহ বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে বসেছিলাম। শাকিবের পক্ষ থেকে সিনেমাটি শেষ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু আমি আমার সিদ্ধান্ত এখনো জানাইনি। মীমাংসা হলে অবশ্যই গণমাধ্যমকে জানাব। 

তবে এসব বিষয়ে শাকিব কিংবা অপু বিশ্বাস কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার চিত্রায়ণের সময় শাকিব খানের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে প্রযোজক রহমত উল্লাহ অভিযোগ করেন। 

অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়, শুটের সময় শাকিবকে নিয়মিত পতিতালয়ে নিয়ে যেতে হতো, আর তা না হলে তার হোটেল কক্ষে অস্ট্রেলিয়ান যৌনকর্মীদের নিয়ে আসতে হতো। বিষয়টি ছিল প্রতিদিনের রুটিন। কখনো কখনো একাধিকবার। এসব যৌনকর্মীর মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক আমাদেরই দিতে হতো। 

সহপ্রযোজককে ধর্ষণের অভিযোগ এনে অস্ট্রেলিয়ায় একটি মামলাও করা হয়, যার মামলা নম্বর: NSW Police reference no: E ৬২৪৯৪৯৫৯। 

সেই ঘটনার সূত্র ধরে অভিযোগে রহমত উল্লাহ আরও বলেন, একবার তিনি আমাদের একজন নারী সহপ্রযোজককে কৌশলে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী ওই নারীকে তিনি অত্যন্ত পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করেন। গুরুতর জখমসহ রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। নির্যাতিতা তখন এ ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। নির্যাতিতা নিজেও একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী। 

‘আমি সেই ফৌজদারি অভিযোগের সাক্ষী ছিলাম। এ ঘটনার পর তিনি এবং তার পরিবার সামাজিকভাবে যেই গ্লানি ও কুৎসার শিকার হন, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে একটা পর্যায়ে তার নিজের ও তার পরিবারে টিকে থাকাটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে। ওই দিন আমরা যখন সহকর্মীকে নিয়ে হাসপাতালে ব্যস্ত, শাকিব খান সেই দিন কাউকে কিছু না জানিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে চুপিসারে চলে যান। এর পর থেকে শাকিবের সঙ্গে বিভিন্ন সময় যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। পরে ২০১৮ সালে তিনি আবার অস্ট্রেলিয়ায় এলে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। সামাজিক চাপে এবং আরও নিগ্রহের ভয়ে নির্যাতিতা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি না হওয়ায় শাকিব সেই যাত্রায় ছাড়া পেয়ে যান।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম