মহান ভাষার মাস
তারুণ্যদীপ্ত সংগ্রামী ঐক্যই শক্তি জুগিয়েছে
যুগান্তর প্রতিবেদন
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শক্তি জুগিয়েছে তারুণ্যদীপ্ত এক সংগ্রামী ঐক্য। এ তারুণ্যই রাজপথে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের ঐক্য ঘটিয়েছে। করেছে সংগ্রামী।
প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় তারা রাস্তায় নেমেছে, মিছিল করেছে, প্রতিবাদ জানিয়েছে। ১৯৫২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি একুশের কর্মসূচিকে সফল করতে তারা আরও জোরালো প্রস্তুতি গ্রহণ করে।
একুশের দিনলিপি গ্রন্থে দিনটি নিয়ে ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক বলেছেন, ১৯৫২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি। পতাকা দিবস পালনের সফলতা আপাতত শেষ। একুশের উদ্দীপনা ধরে রাখতে বা বাড়িয়ে তুলতে এ কর্মসূচি নিঃসন্দেহে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। জনসংযোগের বিষয়টি বলা বাহুল্য ইতিবাচক এবং তা মূলত তারুণ্যের সঙ্গে বয়সি জনসাধারণের।
১৯৫২-র পূর্ববঙ্গীয় তারুণ্য তাদের পূর্বসূরিদের ধারণ করে বা না করেই হোক, জয় ছিনিয়ে আনতে রাজপথে নেমেছে। তাদের পূর্বসূরিদের লক্ষ্য ছিল সংকীর্ণতামুক্ত সামাজিক বিকাশ। আর বায়ান্নর তরুণদের স্বপ্ন ও চেষ্টা ছিল মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা আর সে উদ্দেশ্যে সংগ্রাম। তাদের উচ্চারিত স্লোগানগুলোয় যেমন ছিল মাতৃভাষা বাংলার রাষ্ট্রনৈতিক অধিকার অর্জনের, তেমনই তাতে ছিল বাঙালির স্বাধীন জাতিচেতনার প্রচ্ছন্ন উপস্থিতি।
ঢাকার রাজপথে বায়ান্নর ফেব্রুয়ারির একাধিক দিনে ছোট ছোট পতাকা হাতে বাঙালি তরুণদের পথচলার উদ্দেশ্য পতাকা বিক্রি করে শুধু অর্থ সংগ্রহই নয়, সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়। যাতে একুশের সফল অর্জন নিশ্চিত করা যায়। শুধু রাজধানী ঢাকায়ই নয়, এ প্রচেষ্টা চলেছে দেশের ছোট-বড় শহরগুলোয়ও।
নেপথ্যে রাজনৈতিক দল সমর্থন জুগিয়েছে, কখনো নীরবে তা লক্ষ করেছে। অন্যদিকে আত্মগোপনে থাকা কমিউনিস্ট পার্টি তাদের নিজস্ব সার্কুলারে ঐক্যের পথ গ্রহণের জন্য, ছাত্র-জনতার ঐক্যের সংহত চরিত্র অর্জনের জন্য ছাত্রসমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
সে ঐক্য ছাত্রসমাজের তথা তারুণ্যের, তেমনই সরকারবিরোধী সর্বদলীয় চরিত্রের হতে হবে-এমনই ছিল তাদের আহ্বান। সর্ববাদী ঐক্য না হলে শক্তিমান শত্রুকে পরাজিত করা যাবে না, এমনটাই ছিল তাদের বিশ্বাস। অর্থাৎ ঐক্য তরুণ ও বয়সিদের, ঐক্য সব বয়সের বাঙালির, তথা মানুষের।