Logo
Logo
×

অপরাধ

বাড্ডায় চালককে খুন করে রিকশা ছিনতাই

জরিমানার টাকা জোগাড়ে ঢাকায় এসে জীবন খোয়ালেন সালাম

ইমন রহমান

ইমন রহমান

প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৯ পিএম

জরিমানার টাকা জোগাড়ে ঢাকায় এসে জীবন খোয়ালেন সালাম

ফাইল ছবি

ষাটোর্ধ্ব আব্দুস সালাম গ্রামের বাড়ি শেরপুর সদর উপজেলার যুগনিবাগে অটোরিকশা চালিয়ে সংসারের খরচ জোগাতেন। মাসখানেক আগে তার অটোরিকশাটি ছিনতাই হয়ে যায়। রিকশার মহাজন ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। চরম আর্থিক সংকটে পড়েন আব্দুস সালাম। সেই জরিমানার টাকা জোগাড়ে নিরুপায় হয়ে সপ্তাহখানেক আগে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় বড় ছেলে আবেদ আলীর বাসায় আসেন। ছেলের রিকশার গ্যারেজ থেকে অটোরিকশা নিয়ে চালানো শুরু করেন। সেই রিকশা চালাতে গিয়ে যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীর কবলে পরে এবার জীবনটাই খোয়ালেন আব্দুস সালাম। 

রোববার দিবাগত রাত সাড়ে দশটার দিকে আফতাবনগর চায়না প্রজেক্ট এলাকায় যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন আব্দুস সালাম। ছিনতাইকারীদের বাধা দিলে রডের আঘাতে গুরুতর জখম হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। মঙ্গলবার শেরপুর সদর উপজেলার যুগনিবাগে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। 

এ ঘটনায় বাড্ডা থানায় অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছেন নিহতের ছেলে আবেদ আলী। তবে এখনো কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। 

জানতে চাইলে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ‘ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এখনো আসামিদের শনাক্ত করা যায়নি।’

নিহত আব্দুস সালামের ভাতিজা মো. সুজন জানান, আব্দুস সালামের দুই সংসার।সাত সন্তানের জনক তিনি। ছোট পক্ষের এক ছেলে ও এক মেয়ের সঙ্গে গ্রামে থাকতেন। অটোরিকশা চালিয়ে সংসারের খরচ মেটাতেন। মাস খানেক আগে সেই অটোরিকশা ছিনতাই হয়ে গেছে। গ্রাম্য শালিসে মহাজন ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। কিন্তু এত টাকা দেওয়ার মতো অবস্থা তার নেই। এজন্য পাঁচ দিন আগে গ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন। ওঠেন বড় ছেলে রিকশার মেকার আবেদ আলীর মেরুল বাড্ডার বাসায়।

তিনি আরও জানান, রোববার সন্ধ্যায় মেরুল বাড্ডায় গ্যারেজ থেকে রিকশা নিয়ে বের হন সালাম। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আফতাবনগর চায়না প্রজেক্ট এলাকায় যাত্রীবেশে ছিনতাইকারীরা ভারি বস্তু বা রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে ফেলে রেখে রিকশাটি নিয়ে যায়। খবর পেয়ে সেখান থেকে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সালামকে মৃত ঘোষণা করেন। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম