Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র গ্রেফতার

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র গ্রেফতার

সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় তাদের ওপর গুলি করে হত্যায় একাধিক মামলার আসামি তিনি।

বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল। পরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয়। 

মিডিয়া শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, নওগাঁ-১ আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারকে গ্রেফতার করেছে ডিবির একটি দল। তবে তাকে কোন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানাতে পারেনি এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এদিকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও হত্যার অভিযোগে ঢাকা, ঠাকুরগাঁও ও ময়মনসিংহে সাবেক এমপি দবিরুল ইসলামসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার রাত ও বৃহস্পতিবার পৃথক জায়গা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া রাজশাহীর সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

সাবেক এমপি দবিরুল গ্রেফতার : ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা দবিরুল ইসলামকে বুধবার রাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়ার একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

রুহিয়া থানার ওসি শহীদুর রহমান জানান, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পূর্বপারপুগীর বাসিন্দা হাবিবুল ইসলাম ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি, জমি দখল ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ এনে দবিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেন। এ ছাড়া ২০১৬ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নে মাহাবুব আলম নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হন। সেই ঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর আদালতে একটি মামলা করেন শিক্ষার্থীর বাবা। 

ময়মনসিংহে গ্রেফতার এক : জেলা মোটর মালিক সমিতির মহাসচিব ও মহানগর আওয়ামী লীগ সদস্য নেতা মাহবুবুর রহমানকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার বিকালে ময়মনসিংহ র?্যাব-১৪ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মাহবুবুর রহমান ওই এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে।

সাবেক এমপি কালাম কারাগারে : রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য (এমপি) আবুল কালাম আজাদকে পাঁচটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এরপর বৃহস্পতিবার বিকালে পুলিশ তাকে আদালতে তোলে। পরে আদালত তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালত থেকে বের করা হলে বিক্ষুব্ধ জনতার একজন কালামের মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করেন। তবে হেলমেট থাকায় রক্ষা পান তিনি।

পরে পুলিশ দ্রুত তাকে প্রিজন ভ্যানে তুলে নেয়। রাজশাহী জেলা পুলিশের আদালত পরিদর্শক মো. আমান উল্লাহ জানান, বিকালে আবুল কালাম আজাদকে রাজশাহীর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

রাজধানীতে গ্রেফতার ১০ : রাজধানীতে ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন-নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল গাফফার, পল্টন থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. এনামুল হক আবুল, রূপনগর থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গফুর মোল্লা, চাঁদাবাজ ইমরান হোসেন ওরফে সুলতান, কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম মিলন। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর পৃথক স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। 

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আন্দোলনে শটগান দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগে গফুর মোল্লাকে অস্ত্রসহ নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে একটি শটগান, আটটি অক্ষত গুলি ও একটি ব্যবহৃত কার্তুজ জব্দ করা হয়। 

অন্যদিকে দারুসসালাম শহিদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান এলাকা থেকে দারুসসালাম থানা এবং সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে আটক করে। তারা হলেন, মো. হোসাইন (২৭), মো. রিফাত ওরফে নিপু (১৯), মো. সোহান (১৯), মো. নাইম (১৯)। তাদের কাছ থেকে একটি ম্যাগাজিনসহ বিদেশি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি, একটি সুইস গিয়ার চাকু, ছয়টি মোবাইল ফোন এবং ১২টি মোবাইলের ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়। তাদের বিষয়ে দারুসসালাম থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে গতকাল মধ্যরাতে জানায় পুলিশ। 

ধামরাইয়ে গ্রেফতার ২ : ঢাকার ধামরাইয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ও এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার ঢাকার আদাবর এলাকা থেকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মো.মানোয়ার হোসেন চুনকুকে ও নিজ বাস ভবন থেকে সুয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কফিলউদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে শহিদ কলেজ ছাত্র আফিকুল ইসলাম সাদ হত্যা মামলায় ওই আওয়ামী লীগ নেতা ও ওই ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম