দুর্নীতির অভিযোগ
সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকিরসহ ৪ এমপির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৩ পিএম
নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক প্রাথমিক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনসহ চার এমপির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আকতারুল ইসলাম জানান, দুদকে তাদের (সাবেক চার এমপি) বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ ও কমিশনের গোয়েন্দা ইউনিটের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অন্য এমপিরা হলেন ঢাকা-১৮ আসনের মোহাম্মদ হাবিব হাসান, বগুড়া-৩ আসনের অ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম তালুকদার ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের আব্দুল ওদুদ।
অভিযোগ আছে, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সাবেক এমপি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের নামে ৫ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধভাবে কুড়িগ্রামে ২৬টি বিদ্যালয় শিশু কল্যাণ ট্রাস্টে অন্তর্ভুক্তির জন্য অনুমোদন প্রদান করেন।
একইভাবে তার নিজ নামে রৌমারী এলাকায় ১০ শতাংশ জমিসহ দোতলা বাড়ি, রৌমারী কুড়িগ্রামে ৩ দশমিক ২৮ একর জমিতে মার্কেট ও চাতাল রয়েছে তার নামে। তার নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ও ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
মোহাম্মদ হাবিব হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, হাবিব হাসান তার ছেলে আবির হাসান তানিমের নামে কানাডার বেগমপাড়ায় ১৫ লাখ ৫০ হাজার কানাডিয়ান ডলারে বাড়ি কিনেছেন। এছাড়া দেশে-বিদেশে তার ও তার পরিবারের নামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুদক।
নূরুল ইসলাম তালুকদার ও আব্দুল ওদুদের বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়েছে দুদক। অভিযোগ রয়েছে, নূরুল ইসলাম তালুকদার বাকাদাহ খাড়ি খনন প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ কাজ সম্পন্ন না করে আত্মসাৎ করেছেন। রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি, ফ্ল্যাট ক্রয়সহ স্ত্রী ও নিজ সন্তানদের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক।