ঘুস নিয়ে ওসির ধর্ষণকাণ্ড ধামাচাপা দেন এসপি শফিকুল
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৪, ০৫:১৯ পিএম
কাজী শফিকুল আলম। বাংলাদেশ পুলিশের একজন পুলিশ সুপার (এসপি)। একদিকে বাড়ি গোপালগঞ্জ এবং অন্যদিকে এসবির সাবেক প্রধান (অতিরিক্তি আইজিপি) মনিরুল ইসলামের ভায়রা ভাই। তাকে আর ঘাঁটায় কে। যে কারণে অসীম ক্ষমতার দম্ভে তিনি কাউকে পরোয়া করতেন না গত ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত। সম্প্রতি তাকে ময়মনসিংহের ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
অর্থের বিনিময়ে জমি দখল করে দেওয়া, বালু ব্যবসা, পোস্টিং বাণিজ্য, মাদক ব্যবসায়ীদের আশকারা দেওয়া, ওসির কাছ থেকে ঘুস নেওয়া এবং ঝুট ব্যবসাসহ নানা অভিযোগ গাজীপুরের সদ্য সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী শফিকুল আলমের বিরুদ্ধে।
সূত্র জানায়, গাজীপুর সদর (জয়দেবপুর) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) থাকার সময় প্রায় এক বছর আগে সৈয়দ মিজানুর রহমান একজন সুন্দরী কলেজছাত্রীকে মানিকগঞ্জ থেকে ফুসলিয়ে গাজীপুরে আনেন। তাকে শালবন ইকো রিসোর্ট নামের একটি রিসোর্টে ১০ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি জানান পর এসপি কাজী শফিকুল আলম ওই ওসিকে তার অফিসে ডেকে আনেন। রাতভর নানা নাটকীয়তার পর ওসির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুস নেন। এরপর ধর্ষণ মামলা থেকে বাঁচতে ওসির সঙ্গে কলেজছাত্রীর বিয়ের ব্যবস্থা করেন। বিয়ের পর ওসি মিজান কলেজছাত্রীকে নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় উঠলেও পরে এড়িয়ে চলেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সানোয়ার হোসেনকে দিয়ে তদন্ত চালানোর পর ঘটনাটি ধামাচাপা দেন এসপি শফিকুল।
শফিকুল এসপি থাকাকালীন পাড়া-মহল্লার অলিতে-গলিতে মাদকের বিস্তার ঘটে। দুর্নীতি ও ক্ষমতা অপব্যবহার করাই ছিল যার নেশা। একদিকে বাড়ি গোপালগঞ্জ এবং অন্যদিকে এসবির সাবেক প্রধান (অতিরিক্তি আইজিপি) মনিরুল ইসলামের ভায়রা ভাই। তাকে আর ঘাঁটায় কে। যে কারণে অসীম ক্ষমতার দম্ভে তিনি কাউকে পরোয়া করতেন না। সম্প্রতি তাকে ময়মনসিংহের ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।