রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকায় একটি রিসোর্টে নিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণের পর রিসোর্টের কক্ষে তাকে রেখে পালিয়ে যায় কথিত প্রেমিক। 

এ ঘটনায় গত ২ এপ্রিল ধর্ষণের শিকার তরুণী বাদী হয়ে রিসোর্ট মালিক, ম্যানেজার ও কথিত প্রেমিককে আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার ২৫ দিন পার হলেও আসামিরা এখনো অধরা। 

আসামিরা হলেন- প্রেমিক আকাশ (২৮), রিসোর্টের ম্যানেজার ইমরান (৩৫) ও রিসোর্ট মালিক আব্বাস (৪৫)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বসিলা ৪০ ফিট এলাকায় পুলিশ ব্যারাকের পাশেই জলতরঙ্গ সুইমিংপুল ও রেস্টুরেন্টে ২ এপ্রিল রাতে তার বান্ধবী ওই তরুণীকে নিয়ে যান আকাশ। সেখানে তিনি বান্ধবীকে রিসোর্টের মালিক ও ম্যানেজারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। রাতের খাবারের পর রিসোর্টটির দ্বিতীয় তলায় একটি কক্ষে বিশ্রামের জন্য তরুণীকে নিয়ে যান। এরপর তরুণীকে ধর্ষণের পর কক্ষে রেখেই পালিয়ে যান আকাশ। এরপর তরুণীটি ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে।

স্থানীয়রা বলেন, এ রিসোর্টটি মূলত নানা অপকর্মের আখড়া হিসাবে গড়ে উঠেছে। এখানে নানা বয়সি ছেলে-মেয়েদের অবাধ মেলামেশা, মদ খেয়ে মাতলামি প্রতিদিনের ঘটনা। বিশেষ করে, আশপাশের বাসাবাড়িতে ইয়াবা ও গাঁজার গন্ধে বাস করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রিসোর্টে গিয়ে দেখা যায়, রিসোর্টের মালিক আব্বাস আলী পুলিশের চোখে পলাতক থাকলেও রিসোর্টের ভেতরেই অফিসে বসে আছেন। ধর্ষণ মামলায় আসামি হওয়ার পরও নিয়মিত রিসোর্টে বসে অফিস করছেন কিভাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা একটি বানোয়াট মামলা। এটা পুলিশ বুঝতে পেরে আমাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।

ধর্ষণের শিকার তরুণীর অভিযোগ, মামলার ২৫ দিন পার হয়ে গেলেও এখনো অধরা রয়েছেন রিসোর্ট মালিক আব্বাস আলী ও ধর্ষক আকাশ। পুলিশ একজনকে আটক করলেও বাকিরা এখনো আটক না হওয়ায় আতঙ্কে দিন পার করছেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ওসি মাহফুজুল হক ভূঞা বলেন, এ ঘটনায় একজনকে আমরা আটক করেছি। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে।