বিরাট কোহলিকে ভারতের সবচেয়ে ফিট ক্রিকেটার মনে করা হয়। তবে এটি মানতে নারাজ বোলার জাসপ্রিত বুমরাহ। 

ভারতীয় দলের সবচেয়ে ফিট ক্রিকেটার কে— বিরাট কোহলি, না অন্য কেউ? আনন্দবাজারের  এমন এক প্রশ্নের জবাবে বুমরাহ বলেছেন, ভারতীয় দলের সবচেয়ে ফিট ক্রিকেটার আমি নিজেই।

তিনি বলেন, আমি জানি আপনারা সবাই কার নাম শুনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমি নিজের নাম বলব— আমিই সবচেয়ে ফিট।

কেন তিনি নিজেকে দলের সবচেয়ে ফিট ক্রিকেটার বলছেন তার জবাবও দিলেন এ পেসার। বুমরাহ বলেন, আমি দ্রুতগতির বোলার। বেশ কয়েক বছর ধরে ভারতের হয়ে খেলছি। দ্রুতগতির বোলার হিসাবে গরমের মধ্যে খেলা খুব কঠিন। তাই আমার মনে হয়েছে— একজন পেসারকে দলের সবচেয়ে ফিট ক্রিকেটার বলা উচিত। তাই নিজের নাম বলছি।

বুমরাহ ও কোহলির চোটের ইতিহাস দেখলে বোঝা যায় যে, বুমরাহকেই বেশি দিন মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে ভারতীয় দলে খেলছেন কোহলি। ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে চার বার চোট পেয়েছেন তিনি। কিন্তু কোনোটাই খুব বড় নয়। ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফিল্ডিং করতে গিয়ে কাঁধে চোট পান কোহলি। ফলে একটি ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি। টেস্ট অভিষেকের পর টানা ৫৪ ম্যাচ খেলার পরে একটি ম্যাচে খেলতে পারেননি কোহলি। পরের বার ২০১৮ সালে পিঠের ব্যথায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একটি টেস্ট খেলতে পারেননি তিনি। সে বছরই ঘাড়ের চোটে একটি প্রস্তুতি ম্যাচে নামতে পারেননি কোহলি। ২০২২ সালেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পিঠের চোটে একটি ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি।

সেই তুলনায় মাঠের বাইরে অনেক বেশি সময় থাকতে হয়েছে বুমরাহকে। ২০১৬ সাল থেকে আট বছরের ক্যারিয়ারে পিঠের চোট দীর্ঘ ভুগিয়েছে তাকে। ২০১৮ সালে বাঁ হাতের বুড়ো আঙুলের চোটের কারণে তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছিল। পরের বছর কোমরের চোটে তিন মাস মাঠে নামতে পারেননি বুমরাহ। ২০২০ সালে পেটের চোট ভুগিয়েছিল তাকে। তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। ২০২২ সালের আগস্টে পিঠের চোটে প্রায় একটা বছর মাঠের বাইরে রাখা হয়েছিল বুমরাহকে। অস্ত্রোপচার হয় তার। বুমরাহর ওপর যাতে অতিরিক্ত চাপ না পড়ে তার জন্য তাকে মাঝে মাঝেই বিশ্রাম দেয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।

বুমরার জবাব খুব একটা ভালোভাবে নেননি ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ। তাদের মতে, ক্যারিয়ারে বেশ কয়েকবার চোটের কারণে বাদ পড়তে হয়েছে বুমরাহকে। ধকলের জন্য কয়েকটি সিরিজে বিশ্রামও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোহলি চোটের জন্য খুব একটা দলের বাইরে থাকেননি। বুমরাহর থেকে বয়সে বড় হলেও কোহলির ফিটনেসের প্রশংসা শোনা যায় বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটারদের গলায়। তাই তার নাম বলা উচিত ছিল বলে মনে করেন তারা। 

অন্যদিকে আরেকটি অংশের মতে, বুমরাহ না থাকলে ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে পারত না। তার মতো বোলার তিন ফরম্যাটে নেই। তাই বুমরাহ নিজের প্রশংসা করতেই পারেন বলে মনে করেন তারা।