আইপিএল জয়ের হ্যাটট্রিকে উচ্ছ্বসিত কলকাতা নাইট রাইডার্সের ক্রিকেটাররা। রোববার ফাইনাল ম্যাচ শুরুর আগে ট্রফিতে হাত দিয়ে বসলেন তারা। আর ম্যাচের শেষ বলে ভেঙ্কটেশ আয়ারের ব্যাটে লেগে বল উইকেটরক্ষকের পেছনে চলে যেতেই উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে কলকাতা নাইট রাইডার্সের শিবিরে। উচ্ছ্বাসের তোড়ে ভেসে যান সাপোর্ট স্টাফরাও। মাঠে সপরিবার নেমে পড়েন বলিউড বাদশা শাহরুখ খানও।
মাঠের একদিকে রাখা ছিল আইপিএল ট্রফি। তাতে খোদাই করা হচ্ছিল কেকেআরের নাম। ট্রফি পাওয়ার জন্য তর সইল না শ্রেয়াসদের। চারপাশে দাঁড়িয়ে ট্রফি দেখলেন তারা।
সেই সময়ই ধারাভাষ্যকার হর্ষ ভোগলে ও ম্যাথু হেডেন ধরলেন দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফকে। তারা জানালেন মনের কথা—
ভেঙ্কটেশ আয়ার: খুবই খুশি হয়েছি। দলের সবাই এই জয়ের নেপথ্যে রয়েছে। ১০ বছরের অপেক্ষা শেষ হলো। বড় ভূমিকা ছিল নায়ারের। অভিষেক দলের জন্য যা করেছে, তা বাইরে থেকে কেউ দেখতে পায়নি। এই জয় সমর্থকদের জন্য।
আন্দ্রে রাসেল: এ জয়ের আনন্দ বোঝানোর কোনো ভাষা নেই। আমরা সবাই একটা দল হিসাবে লক্ষ্যে এগিয়ে গেছি। এই ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি আমার জন্য অনেক কিছু করেছে, ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আমাদের তরফ থেকে এটা ফ্র্যাঞ্চাইজ়িকে উপহার।
নিতিশ রানা: গম্ভীর ভাইকে মেন্টর করার পর ওকে মেসেজ করে জানিয়েছিলাম— আমি কতটা খুশি হয়েছি। ও উত্তরে বলেছিলেন—আমি তখনই খুশি হব, যখন ওই ট্রফিটা তুলব। আজ সেই দিন। আমি ওই মেসেজ কোনো দিন ভুলব না।
রিঙ্কু সিংহ : আমার সাত বছরের স্বপ্ন পূর্ণ হলো। শেষ পর্যন্ত আমি ট্রফিটা তুলতে পেরেছি। গোটা দলকে নিয়ে গর্বিত। ঈশ্বর এটাই চেয়েছিল।
বোলিং কোচ ভরত অরুণ: গত দুই বছর খুব কঠিন ছিল। অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে আমাকে। হর্ষিত দুর্দান্ত খেলেছে। নিজের শক্তির ওপর ভরসা রেখেছে। স্টার্ক দলে থাকায় বাকি সবার আত্মবিশ্বাস বেড়েছিল। ও বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার। এখানকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পর ও নিজের সেরাটা দেওয়া শুরু করেছে। সুনিল নারিন ও বরুণ দারুণ বল করেছে। নারিনের ব্যাটিং আমাদের কাজে লেগেছে। ওটা গম্ভীরের পরিকল্পনা ছিল। সব মিলিয়ে খুব ভালো পারফরম্যান্স।
সহকারী কোচ অভিষেক নায়ার: আমি প্রথম মৌসুম থেকে আইপিএল খেলা শুরু করেছি। আমার ১৬ বছর সময় লাগল প্রথম ট্রফি জিততে। দলের সবার জন্য গর্বিত। বোঝাতে পারব না আমি কতটা খুশি হয়েছি। রাসেল দারুণ খেলেছে। অনেক দিন পর এত আনন্দ হচ্ছে।
বরুণ চক্রবর্তী: বিদেশি ছাড়াও ভারতীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে একটা ভালো দল তৈরি করার কৃতিত্ব আমি দেব অভিষেক নায়ারকে।
হর্ষিত রানা: আমি কতটা খুশি হয়েছি তা বলে বোঝাতে পারব না।
রমনদীপ সিংহ: খুব খুশি। এই দিনটার জন্য খুব পরিশ্রম করেছি। তাই আরও আনন্দ হচ্ছে।
বৈভব অরোরা: আমার কাজ ছিল নতুন বলে উইকেট নেওয়া। তার পরে স্পিনাররা নিজেদের কাজ করেছে। আজও আমার লক্ষ্য ছিল শুরুতে উইকেট নেওয়া। সেটা করতে পেরেছি।