বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সোমবারের সভায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অনেকটা চমক হিসেবে মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর জায়গায় প্রধান নির্বাচক করা হয় বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে অধিনায়ক লিপুকে। এক সময় বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগেরও দায়িত্ব পালন করা ৬৩ বছরের লিপুর নিয়োগের খবর গণমাধ্যম থেকেই জেনেছেন বিসিবির পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন।
নির্বাচক প্যানেল নিয়োগ দেওয়া নিয়ে মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে দুর্দান্ত ঢাকার অনুশীলন শুরুর আগে সুজনের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চান সাংবাদিকরা। এ সময় সদ্যবিদায়ী প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু সম্পর্কে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘লিপু ভাই ক্রিকেট থেকে অনেক দিন দূরে ছিলেন; কিন্তু মিনহাজুল আবেদিন নান্নুরা তো খুব একটা খারাপ কাজ করেননি। ভালো কাজই করেছেন। তাদের সঙ্গে খেলোয়াড়দের বন্ডিংটাও অনেক ভালো। সেখান থেকে বের হয়ে আসা তার (নান্নু) জন্য কতটা কঠিন মনে করেন?’
জবাবে সুজন বলেন, ‘আপনাদের এ প্রশ্ন করা কি ঠিক? নান্নু ভাইকে আপনারা এমনভাবে… (বলতে গিয়ে থেমে যান সুজন, পরক্ষণে বলেন) নান্নু ভাই খুবই দুর্ভাগা। একজন সাবেক অধিনায়ককে যেভাবে মানুষ বিব্রত করেছে, আমি এটা মেনে নিতেই পারি না। ভুল মানুষের থাকতেই পারে। নান্নু ভাই, সুমন সততার সঙ্গে কাজ করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু উনাদের (নান্নু-সুমন) দোষ দিয়েও লাভ হবে না। আমরা নির্বাচক খুঁজে পাচ্ছিলাম না। বিসিবি কেন উনাদের এতদিন ক্যারি করেছে? যেটা বাস্তবতা সেটা ভাবতে হবে। নান্নু ভাই দুদিন আগেও খুব খারাপ ছিলেন, আজ তাকে ভালো বলার কারণ আছে বলে মনে করি না। আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া দেখে যদি সিলেক্টর তৈরি করি, সিলেক্টর-প্লেয়ারদের গালি দেই! তাহলে তো হবে না। এসব কথা সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই ছড়ায়। আপনাদের (সাংবাদিকদের) দায়িত্বও খুব জরুরি। সমালোচনা থাকবেই। শান্ত ভালো খেলবে না, সমালোচনা হবে। লিপু ভাই ভালো কাজ করবে না, সমালোচনা হবে। কিন্তু লিপু ভাইয়ের ভালো কাজের কথাও বলতে হবে।’
সুজন আরও বলেন, ‘নান্নু ভাই, সুমনের অধীনে বাংলাদেশ দল অনেক সাফল্য পেয়েছে। উনাদের অবদান ভুলে গেলে হবে না। পরিবর্তন দরকার ছিল, বিসিবির এ সিদ্ধান্ত…, নান্নু ভাইরা যতদূর করেছেন, অবশ্যই অনেক ভালো কাজ করেছেন। আমি কোনো দোষারোপ করি না, উলটো স্যালুট করি। তারা ধৈর্যের সঙ্গে যে কাজটা করে গেছেন; সিলেকশন সহজ কাজ না, আপনি তো সবাইকে খুশি করতে পারবেন না। এতজন থেকে ১৫ জন নেওয়া, আবার পছন্দ-অপছন্দ আছে। এগুলোর মধ্যে কাজ করা সহজ ছিল না।’