ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ, মাদ্রাসার পরিচালক কারাগারে
বিরল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩২ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বিরলে আসহাবুস সুফফা বালিকা মাদ্রাসা ও নূরানী একাডেমির পরিচালক ধর্ষণের অভিযোগে শ্রীঘরে (জেলহাজতে) রয়েছে। রোববার রাতে উপজেলার ৩নং ধামইড় ইউনিয়নের ঢেরাপাটিয়া বাজার সংলগ্ন মাদ্রাসা থেকে ভিকটিম উদ্ধারসহ অভিযুক্ত ওই পরিচালককে আটক করে পুলিশ।
আটক পরিচালক হাফেজ মো. আবু বাকার সিদ্দিক উপজেলার ১১নং পলাশবাড়ী ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা গ্রামের অধিবাসী।
ভিকটিমের মা থানার এজাহারে জানান, আমার মেয়ে শিক্ষিকা হিসাবে চাকরি করাসহ মাদ্রাসার আবাসিক রুমে অন্যান্য ছাত্রীদের সঙ্গে বসবাস করে আসছিলেন। মাদ্রাসার পরিচালক আবু বাকার সিদ্দিক তার স্ত্রীসহ মাদ্রাসার পশ্চিম ভিটার পূর্ব দুয়ারী বিল্ডিং ঘরে বসবাস করে। শনিবার সকাল ৬টায় আসামির স্ত্রী বিবাহের দাওয়াত খাওয়ার জন্য মাদ্রাসার বাহিরে যায়। এরই সুযোগে বিকালে ভিকটিম মাদ্রাসায় ছাত্রীদের পাঠদান শেষে ঘরে শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।
এ অবস্থায় পরিচালকের স্ত্রী মাদ্রাসায় না থাকার সুযোগে ঘরে প্রবেশ করে ভিকটিমকে ডেকে তার পশ্চিম ভিটার পূর্ব (আসামির শয়ন ঘরে) নিয়ে যায়। তারপর মাদ্রাসার পরিচালক ভিকটিমকে আইসক্রিম খেতে বলে। খেতে রাজি না হওয়ায় জোরপূর্বক তার মুখে থাকা নেকাপ টেনে ওপরে তুলে জোরপূর্বক আইসক্রিম খাইয়ে দেয়। আইসক্রিম খাওয়ার পর ভিকটিমের মাথা ঘুরতে থাকে। তখন ভিকটিমের মুখ ওড়না দিয়ে বেঁধে বিবস্ত্র করে ধর্ষণ করে।
ভিকটিম গোপনে ঘটনার কথা এক অভিভাবককে জানালে তিনি মোবাইল ফোনে বিস্তারিত জানায়।
এ ব্যাপারে বিরল থানার ওসি মো. আব্দুস ছবুর বলেন, ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন।
