ভাবির সহযোগিতায় কিশোরীকে রাতভর গণধর্ষণ, অবশেষে মামলা নিলেন ওসি
তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৩ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বরগুনার তালতলীতে পাশের বাড়ির ভাবির সহযোগিতায় এক কিশোরীকে রাতভর গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ইব্রাহিমসহ তার চার বন্ধুর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার গত ৫ দিন ধরে থানায় গেলেও গণধর্ষণের মামলা না নেওয়ার অভিযোগ উঠে ওসি মো. শাহজালালের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে সোমবার যুগান্তর পত্রিকার ১১ পৃষ্ঠায় ‘তালতলীতে ভাবির সহযোগিতায় কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এতে ওসি মো. শাহজালালের টনক নড়ে। সোমবার ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারকে ডেকে এনে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা নেন ওসি। তড়িঘড়ি করে ওই মামলার প্রধান আসামি রিনা বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে থানার ওসি শাহজালাল মামলা গ্রহণ এবং প্রধান আসামি রিনা বেগম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিশানাবাড়ি ইউনিয়নের তাঁতিপাড়া এলাকার বশিরের স্ত্রী রিনা বেগম তার আত্মীয় ইব্রাহিম নামের এক যুবকের সঙ্গে একই এলাকার এক কিশোরীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২২ এপ্রিল রাতে রিনা বেগমের বাড়িতে ওই কিশোরী ও তার মাকে ডেকে নেওয়া হয়। এ সময় কিশোরীর মায়ের অজান্তে কিশোরীকে বিয়ের আশ্বাসসহ বিভিন্নভাবে ফুঁসলিয়ে ইব্রাহিমের সঙ্গে মোটরসাইকেলে পাঠিয়ে দেন রিনা বেগম।
ইব্রাহিম ওই কিশোরীকে নিয়ে রাত ১০টার দিকে উপজেলার নকরী খেয়াঘাটে একটি মাছের ঘেরে আটকে রেখে জোরপূর্বক রাতভর গণধর্ষণ করে ইব্রাহিমসহ তার চার অজ্ঞাত বন্ধু। সকালে ২শ টাকা গাড়ি ভাড়া দিয়ে কিশোরীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার থানায় এলে মামলা নেয়নি পুলিশ।
ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বলেন, আপনারা সত্যি নিউজ প্রকাশ না করলে আমরা মামলা দিতে পারতাম না। আমার মেয়ের এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার চাই।
তালতলী থানার ওসি মো. শাহজালাল বলেন, গণধর্ষণের বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
