নারী কমিশনের প্রস্তাবনা প্রত্যাখ্যান করতে মামুনুল হকের আলটিমেটাম
ফতুল্লা (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫০ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক নারী কমিশনের প্রস্তাবনা প্রত্যাখ্যান করার আলটিমেটাম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আগামী ৩ মের আগে নারী কমিশনের প্রস্তাবনা প্রত্যাখ্যান করতে হবে। যদি এ প্রস্তাব প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হব।
তিনি বলেন, আল্লাহর কুরআনের বিরুদ্ধে ইসলামকে কটাক্ষপূর্ণ এ ধরনের সুপারিশ করার দায়ে নারী কমিশনে থাকা প্রতিটি সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। কুরআনবিরোধী কোনো অপশক্তির ঠাঁই বাংলাদেশে হবে না।
শুক্রবার বিকালে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জেলা হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে আয়োজিত গণজমায়েতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এ আলটিমেটাম দেন। আগামী ৩ মে নারী কমিশন বাতিলের দাবিতে আয়োজিত মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে এ গণজমায়েতের আয়োজন করা হয়।
মামুনুল হক বলেন, বাংলাদেশে স্বাধীনতা পরবর্তী এ সময়ে ব্যাপক সংস্কারের একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিগত দিনে সংবিধানে অনেক সংশোধনী এসেছে কিন্তু কখনো সংবিধান সংস্কারের আওয়াজ উঠেনি। জুলাই এবং আগস্ট বিপ্লবের দুই হাজার তাজা প্রাণের বিনিময়ে গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ সরকারের অন্যতম একটি মহতী উদ্যোগ হলো সংবিধানসহ বিভিন্ন ধরনের সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করা।
তিনি বলেন, আমরা এসব সংস্কার কার্যক্রমকে শুরু থেকেই সাধুবাদ জানিয়েছি। ৬টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে পাঁচটি সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনাকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। এতে প্রতীয়মান হয় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এবং দেশের আলেম সমাজ বাংলাদেশের বর্তমান সংস্কার কার্যক্রমের সবচেয়ে বড় সহযোগী শক্তি; কিন্তু দুঃখের বিষয় বিগত ১৯ এপ্রিল নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছে, এটাকে আমরা স্বাগত জানাব তো দূরের কথা, বাংলাদেশের আলেম সমাজ বিস্মিত হয়েছি। আমরা এখন পর্যন্ত কল্পনা করতে পারছি না, আগস্ট বিপ্লবপরবর্তী সময়ে এ ধরনের কুরআনবিরোধী পদক্ষেপের প্রস্তাব উত্থাপিত হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, তাদের প্রস্তাবনায় বাংলাদেশে নারীর প্রতি বৈষম্যের জন্য কুরআনের এবং ইসলামের আইনকে বেশি দায়ী করেছে। অথচ সব বৈষম্য দূর করে ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য কুরআন নাজিল হয়েছে। আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করার ধৃষ্টতা বরদাশত করতে প্রস্তুত নই।
নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন- জেলা সহসভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, মহানগর সভাপতি মুফতি হারুনুর রশিদ প্রমুখ।
