বাঘায় অসময়ে পদ্মার ভাঙন দুশ্চিন্তায় এলাকাবাসী
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০০ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মা নদী তীরবর্তী দুই কিলোমিটার এলাকায় শুষ্ক মৌসুমেও ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি, স্কুল ও বসতভিটা। ইতোমধ্যে বহু জমি বিলীন হয়েছে। অনেকে সরে গেছেন নিরাপদ স্থানে।
জানা গেছে, উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের
চকরাজাপুর, কালিদাসখালী, লক্ষীরগর, পূর্বকালিদাসখালী ও নিচ পলাশিচর এলাকায় ভাঙন দেখা
দিয়েছে। অসময়ের এ ভাঙনে কালিদাসখালী চরের জেলে ওলিউর রহমান, মুদি দোকানদার তেহের হোসেন,
স্থানীয় কৃষক মোবারক হোসেন, মজিবর রহমান, হাসিনুর রহমান মণ্ডল, সুবান আলী মণ্ডল, সিদ্দিক
পোগলারসহ সাতজনের বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এছাড়া নিচ পলাশিচরের ছত্তর ব্যাপারী, বাবু
ব্যাপারী, বাদশা ব্যাপারী, হানিফ ব্যাপারী, নুরুজ্জামান শেখ, মুদা ব্যাপারী, উজ্জল
শেখ, মিন্না শেখ, শফিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, সাহাদুল ইসলাম, জিন্না শেখ, বখতিয়ার
শেখ, মুজা ব্যাপারী, গুলবার শেখ, জাহানারা বেগম, আবদুল আওয়াল, সুলতান আলীর বাড়ি ভাঙনে
বিলীন হয়েছে। তারা অন্যত্রে আশ্রয় নিয়েছেন।
ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে- চকরাজাপুর হাইস্কুল
ও বাজার, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চকরাজাপুর, ৩ নম্বর
ওয়ার্ডের কালিদাশখালি, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষীনগর,
১ নম্বর ওয়ার্ডের আতারপাড়া চর, ২ নম্বর ওয়ার্ডের
চৌমাদিয়া চর, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কালিদাশখাী, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব কালিদাশখালী চর
ও আতারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
কালিদাসখালী চরের জেলে ওলিউর রহমান বলেন,
আমি পদ্মায় মাছ ধরে সংসার পরিচালনা করি। পদ্মার ধারে আমার বাড়িটা নদীগর্ভে চলে গেছে।
আমি নিরুপায় হয়ে গেছি।
চকরাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য তঞ্জু
মোল্লা বলেন, কয়েক দিন ধরে দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই
অন্যস্থানে সরে গেছে। বেশ কিছু বিদ্যুতের পুল উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে।
চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান
শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, আমরা নদী ভাঙনে নিরুপায়। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো
হয়েছে।
উপজেলা বিআরডিপি কর্মকর্তা ও চকরাজাপুর
ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক তরিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলা প্রশাসনকে ভাঙনের বিষয়ে জানানো হয়েছে।
বিভিন্ন স্থানে ভাঙছে। এর মধ্যে জমির মালিকরা গাছপালা কেটে নিচ্ছেন। এছাড়া আতারপাড়া
পাড়া স্কুলটিও ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার বলেন, ভাঙনের বিষয়ে রাজশাহীর পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। তারা সরেজমিন দেখে ব্যবস্থা নেবে।
