Logo
Logo
×

সারাদেশ

অফিসে ঢুকে প্রধান শিক্ষককে মারধর

Icon

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩২ পিএম

অফিসে ঢুকে প্রধান শিক্ষককে মারধর

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি নিয়ে বিরোধের জের ধরে অফিসে ঢুকে প্রধান শিক্ষক ইউনুস নবী মানিককে (৫৪) বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার বেলা ১১টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় লোকজন ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে একটি বাড়িতে আশ্রয় দেন।

হামলার শিকার নরোত্তমপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউনুস নবী মানিক বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী গত ২৪ অক্টোবর তৎকালীন বেগমগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোতাসিম বিল্লার সামনে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি মুক্তার হোসেনের নেতৃত্বে জোর করে আমার কাছ থেকে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। তাৎক্ষণিক বিষয়টি আমি লিখিতভাবে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করি। এ ঘটনার একদিন পর আমি বিদ্যালয়ে গেলে মুক্তারসহ তার সাঙ্গোপাঙ্গরা আমাকে বাধার সৃষ্টি করে এবং জোরপূর্বক থাকতে দেয়নি। 

তিনি অভিযোগ করে বলেন, এ ঘটনায় আমি নোয়াখালী বেগমগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত চলতি বছরের ২০ মে পর্যন্ত ওই পদত্যাগপত্রের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। বুধবার বেলা সোয়া ১০টার দিকে আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে প্রবেশ করি। এরপর বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি মুক্তার হোসেনের ছোট ভাই একরাম হোসেন, ডাক্তার পারভেজ ও পাক ছমিরমুন্সি বাজার পরিচালনা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমানের নেতৃত্বে একদল লোক অফিস কক্ষে ঢোকেন। একপর্যায়ে তারা আমাকে বেধড়ক পিটিয়ে শার্ট, প্যান্ট ছিঁড়ে অর্ধ-উলঙ্গ করে অফিস থেকে বের করে দেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নরোত্তমপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মুক্তার হোসেন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, আমার ভাই ও আমার কোনো লোক এ হামলার সঙ্গে জড়িত নয়। ওই শিক্ষক দুর্নীতিবাজ, এজন্য স্থানীয় লোকজন তাকে পিটিয়ে বের করে দিয়েছেন। তারা কেন পিটিয়েছেন? এর উত্তর আমি জানি না। তার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত চলছে। তিনি স্কুলে ঢুকতে ইউএনও ও শিক্ষা অফিসারের কোনো অনুমতি নেননি। উল্টো সন্ত্রাসী নিয়ে স্কুলে ঢোকেন। এর আগেও তিনি একবার সন্ত্রাসী নিয়ে স্কুলে ঢুকতে চেষ্টা করেন।

এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নরোত্তমপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. আরিফুর রহমান বলেন, যারা প্রধান শিক্ষককে মারধর করেছেন তারাই তাকে বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেন না। প্রধান শিক্ষক স্কুলে যেতে পারেন না। স্কুলে যেহেতু যেতে পারেন না, সেহেতু তাকে তো আমরা প্রটেকশন দিয়ে স্কুলে নিয়ে যেতে পারব না। সেক্ষেত্রে আমি জেলা শিক্ষা অফিসারের মতামত নিয়ে একজনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছি।

ইউএনও আরও বলেন, ওই শিক্ষক আদালতে মামলা করেছেন। আদালতে যদি রায় পায় ভালো কথা, আদালত যদি তাকে নির্দেশনা দেন, ফোর্স করে বলেন- প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ আছে, তিনি আগের প্রতিষ্ঠানে যেখানে ছিলেন, সেখানেও নাকি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে।

নোয়াখালী

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম