Logo
Logo
×

সারাদেশ

রাণীনগরে বিস্তীর্ণ ধানের খেতে দোলা দিচ্ছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন

Icon

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৫ পিএম

রাণীনগরে বিস্তীর্ণ ধানের খেতে দোলা দিচ্ছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন

যতদূর চোখ যায় দেখা মেলে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে ইরি-বোরো ধানের সবুজের সমরোহ। এ সবুজের সমরোহে সোনালি ধানের শীষ বাতাসে দোল খাচ্ছে। এই দোলায় লুকিয়ে আছে হাজার হাজার কৃষকের রঙিন স্বপ্ন। 

উত্তরের জনপদ নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে রাণীনগর উপজেলাজুড়ে রেকর্ড পরিমাণ জমিতে ইরি-বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন বাতাসে দোল খাচ্ছে। আর বেড়ে ওঠা ধানের শীষে ভরে গেছে মাঠ। দিগন্ত জোড়া সোনালি ফসলের মাঠ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও বিকশিত করে তুলেছে।

বর্তমানে শেষ মহূর্তের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আর মাত্র ৮-১০ দিনের মধ্যেই উপজেলায় পুরোদমে শুরু হবে ধান কাটা ও মাড়াই। তবে শ্রমিক সংকটের শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। এখন থেকেই সুষ্ঠুভাবে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা। 

কৃষকরা বলছেন, এবার বোরো ধানের ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। হাজার হাজার কৃষক পরিবারের চোখে-মুখে এখন স্বপ্ন পূরণের প্রত্যাশা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা কোনো বিপর্যয় না ঘটলে কৃষকদের বাড়ির আঙিনা ভরে উঠবে সোনালি ধানের হাসিতে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮ হাজার ৮০০ হেক্টর জমি। এর মধ্যে ১৮ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। এবার উপজেলার কৃষকেরা-জিরাশাইল, কাটারি, স্বর্ণলতা, ব্রি-ধান ২৯-২৯০, ব্রি-ধান ৮৯-১৮০, ব্রি-ধান ১০০-১৫০, ব্রি-ধান ১০৪ ও ১০৮ জাতসহ নানা জাতের ধানের আবাদ করেছেন। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৫ হাজার ৫৪০ মেট্রিক টন।

উপজেলার বিজয়কান্দি বড়বড়িয়া গ্রামের কৃষক মো. ফারুক জানান, নিজস্ব ৫ বিঘা ও বর্গা ১৫ বিঘা মিলে মোট ২০ বিঘা জমিতে ইরি-বোরো আবাদ করেছি। এর মধ্যে জিরা ১৪ বিঘা ও ৬ বিঘা কাটারি ধান। রোগ বালাই না থাকায় জমিতে ধানের শীষ খুব ভালো হয়েছে। আর মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে ধান কাটা-মাড়াই শুরু হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।

বছির আলী মাঝি মিঠুন নামে এক কৃষক জানান, প্রায় ৪ বিঘা জমিতে জিরাশাইল ধান আবাদ করেছেন। ধান খুব ভালো হয়েছে। শিলাবৃষ্টি আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে জমিতে ৯০ মণের অধিক ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন। 

কৃষক কাজী শামছুর রহমান জানান, তিনি ২৪ বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছেন। ফলন ভালো হওয়ার আশা থাকলেও প্রকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কায় ভুগছেন।

রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসা. মোস্তাকিমা খাতুন বলেন, এবার ইরি-বোরো মৌসুমে ধানে রোগবালাই ও পোকার আক্রমণ নেই বললেই চলে। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে ধান খুবই ভালো হয়েছে। আর ৮-১০ দিনের মধ্যেই উপজেলায় পুরোদমে ধান কাটা-মাড়াই শুরু হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা কোনো বিপর্যয় না ঘটলে কৃষকরা বাম্পার ফলন পাবেন।

রাণীনগর ধানক্ষেত

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম