নাটোরের লালপুরে রোগী বহনকারী একটি অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। সোমবার রাত ৮টার দিকে ঈশ্বরদী-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কের লালপুর ত্রিমোহনী চত্ত্বরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা রোগী শিমুল আলী (৫৫) নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। এর মধ্যে দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহত শিমুল চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার মৃত ফয়জুরের ছেলে। আহতরা হলেন, লালপুর উপজেলার নুরুল্লাপুর গ্রামের মুসার ছেলে ফজলু (৪৫), মেয়ে ফাতেমা (১৭) ও সাইফুল ইসলামের ছেলে শিপন (২৪)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, চুয়াডাঙ্গা থেকে রোগী শিমুল আলীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। যানটি লালপুর ত্রিমোহনী চত্ত্বরে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যানকে ধাক্কা দেয়। এতে ওই ভ্যানের যাত্রী ফজলু, তার মেয়ে ফাতেমা ও শিপন গুরুতর আহত হয়।

দুর্ঘটনার পর অ্যাম্বুলেন্স চালক পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা রোগীসহ আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিমুল আলীকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত ফজলু ও ফাতেমার  অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

লালপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোমিনুজ্জামান বলেন, ‘দুর্ঘটনাকবলিত যান জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’