|
ফলো করুন |
|
|---|---|
চট্টগ্রাম নগরীতে যাত্রীবাহী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় পেট্রলবোমা হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় অটোরিকশার দুই নারী যাত্রী দগ্ধ হয়েছেন।
রোববার বিকাল পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার আতুরার ডিপো এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর লায়লা বেগম নামে একজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন- রাউজান পৌরসভার ছিটিয়াপাড়া শান্তিনগর এলাকার কবির আহমেদের মেয়ে লায়লা বেগম (৫০) এবং জানালী হাট উজির আলী মাঝির বাড়ির বাদশা মিয়ার মেয়ে ঝরনা (৩০)। তবে ঝরনার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাউজান পৌরসভার ৭ নাম্বার ওয়ার্ড থেকে কুতুবদিয়া মালেক শাহ হুজুরের মাজার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে বের হন আব্বাস আলী ও তার পরিবারের সদস্যরা। তাদের অটোরিকশা আতুরার ডিপো পেট্রলপাম্প পার হওয়ার সময় মোটরসাইকেলে হেলমেট পরা দুর্বৃত্তরা তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে। বোমাটি বিস্ফোরিত হয়ে গাড়িতে আগুন লেগে যায়। এ সময় অন্যরা নেমে যেতে পারলেও দুই নারী আগুনে দগ্ধ হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে পাঠান।
চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক জানান, সিএনজিচালিত অটোরিকশার দুই যাত্রীকে ভোরে দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের ৩৬ নম্বর বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. এসএ রাশেদ বলেন, লায়লা বেগমের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তবে অপর যাত্রীর শরীর এক শতাংশ পুড়ে গেছে। তিনি আশঙ্কামুক্ত।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পরপরই বায়েজিদ বোস্তামী থানার একাধিক টিম মাঠে নামে। পাশাপাশি সিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থল ও আশপাশের একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে।
এ ব্যাপারে সিএমপির এডিসি (গণসংযোগ) মাহমুদা বেগম যুগান্তরকে জানান, অটোরিকশায় বোমা হামলার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে। ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে এ হামলা নাকি রাজনৈতিক বা অন্য কোনো পূর্বশত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে- তা তদন্তের পর জানা যাবে।
