Logo
Logo
×

সারাদেশ

কৃষককে মারধর করে জমি দখলে নেওয়ার অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

Icon

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪৪ পিএম

কৃষককে মারধর করে জমি দখলে নেওয়ার অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় আন্ডারচর ইউনিয়নে জমির বিরোধ মেটাতে দেওয়া ৫০ হাজার টাকা ও দলিল চাইতে বাড়িতে গেলে এক কৃষককে মারধর করে তার জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে এক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে।

রোববার সকাল ১০টায় নোয়াখালী প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী কৃষক মো. জহির আলম (৫১)। শনিবার দুপুরে মারধর করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি জানাজানি হয়। উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত যুবদল নেতা মো. আজাদ সদর উপজেলা আন্ডারচর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব। ভুক্তভোগী কৃষক একই ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের বাসিন্দা জহির।

কৃষক জহির আলম জানান, উপজেলার মাইজচর এলাকার পৈতৃক সম্পত্তি ২ একর ৯০ শতক জমি দীর্ঘদিন ধরে তারা ভোগ করে আসছিলেন। এক সময় ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি মনসুর আহমেদ মায়া বর্গা দেওয়ার নাম করে ওই জমি নিজের দখলে নিয়ে নেন। এরপর ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর আন্ডারচর ইউনিয়নের ৩ নাম্বার ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আজাদ জমির সমস্যার সমাধান করবেন বলে আশ্বাস দিয়ে তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ও জমির কাগজপত্র নেন। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও সমস্যার সমাধান করেননি আজাদ। পরে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উলটো তার (জহিরের) নম্বর ব্লক করে দেন আজাদ।

জহির আলম অভিযোগ করে বলেন, সোমবার আজাদের বাড়ি গিয়ে জমির কাগজপত্র ও টাকা চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করেন। প্রথমবার আমাকে মারলেও আমি ভিডিও ধারণ করতে পারিনি। পরে দ্বিতীয়বার যখন তিনি আবার মারধর করেন, তখন আমি মোবাইলে ভিডিও চালু করে পকেটে রাখি। ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। 

তিনি বলেন, ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর, ১৭ এপ্রিল আজাদ মোল্লার নেতৃত্বে একটি দল স্থানীয় আনন্দবাজার এলাকায় আমাকে (জহির) ডেকে নিয়ে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে এবং ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে। 

জহির আলম বলেন, তারা আমাকে বলে- ক্ষমা না চাইলে তুলে নিয়ে যাবে। আমি বাধ্য হয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাই।

যোগাযোগ করা হলে আন্ডারচর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মো. আজাদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই কৃষক স্বীকার করেছে আমাকে কোনো কাগজপত্র ও টাকা দেননি; এমন একটি ভিডিও আমার কাছে আছে। তার বাড়ি চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন। তিনি আমার এলাকায় এসে জমি জবরদখলের চেষ্টা করছেন।  

তিনি বলেন, দুটি বহিরাগত পক্ষ এ জমির মালিকানা দাবি করছে। দুজনেরই কাগজপত্র ফেলে দেওয়ার মতো না। আমি তাকে মারধর করিনি শুধু বলেছি তুই বাড়ি থেকে বের হয়ে যা।  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

নোয়াখালী কৃষক যুবদল

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম