
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৪ পিএম
ছাত্রীকে বিয়ের কথা বলে হোটেল কক্ষে ধর্ষণ, ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

যুগান্তর প্রতিবেদন, বরগুনা
প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৮ পিএম

আরও পড়ুন
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে কলেজছাত্রীকে কুয়াকাটা আবাসিক হোটেলে আটকে রাতভর ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরের দিন সকালে কুয়াকাটা বাকেরগঞ্জ সড়কে কলেজছাত্রীকে রেখে ধর্ষক ও তার বন্ধু পালিয়ে যায়।
এমন অভিযোগে রোববার বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তরুণীর বাবা দুইজনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনার ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সাত দিনের মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামি হলেন- যশোরের অভয়নগর নোয়াপাড়া উপজেলার প্রেমবাগান গ্রামের সৈয়দ বিল্লাল হোসেনের ছেলে সৈয়দ কাইফ ও তার বন্ধু মাহিন আহম্মেদ (২২)।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই কোর্টের বিশেষ পিপি রনজুয়ারা সিপু।
তরুণীর বাবা অভিযোগ করেন, আসামি সৈয়দ কাইফ ও তিনি যশোরের সন্তান। আসামি ও বাদীর মেয়ে পড়াশোনা করার সময় যশোরে পরিচয় হয়। বাদীর মেয়েকে জোর করে বিয়ে করতে চায় কাইফ। মেয়ের বাবা বিয়েতে রাজি না হলে কাইফ তার মেয়েকে অপহরণ করে বিয়ে করার হুমকি দেয়। এমন ভয়ে বাদী তার পরিবার নিয়ে এক বছর আগে বরগুনা শহরে এসে খাবার হোটেল দেয়।
বাদীর ১৯ বছরের মেয়েকে বরগুনা সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি করায়। গত বুধবার সৈয়দ কাইফ ফোন করে তরুণীকে বিয়ে করার জন্য আমতলী ফেরিঘাটে ডেকে নেয়। কাইফ ও তার বন্ধু মাহিন বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একটি প্রাইভেট গাড়িতে কুয়াকাটা সি বিচে নিয়ে যায়। সেখানে মেঘনা নামের একটি আবাসিক হোটেলের ৩০৬ নম্বর কক্ষে তরুণীকে আটকে রাতে একাধিকবার ধর্ষণ করে কাইফ। তরুণী বাধা দিলে সৈয়দ কাইফ বাধা উপেক্ষা করে বলে সকালে আমাদের বিয়ে হবে। আমরা তো স্বামী-স্ত্রী হিসেবে হোটেলে থাকছি।
১০ এপ্রিল সকালে দুই বন্ধু তরুণীকে নিয়ে যশোর রওনা দেয়। পথিমধ্যে বাকেরগঞ্জ এসে তরুণীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে রেখে তারা দুইজন চলে যায়। ওখান থেকে তরুণী একাই বরগুনার বাসায় এসে বিস্তারিত ঘটনা তার মায়ের কাছে বলে।
তরুণীর বাবা বলেন, কাইফের জন্য আমরা যশোর থাকতে পারিনি। মেয়েকে নিয়ে বরগুনা এসেও আমার মেয়ের ইজ্জত রক্ষা করতে পারলাম না। আমার মেয়েকে কাইফ বিয়ের কথা বলে কুয়াকাটা মেঘনা হোটেলের ৩০৬ নম্বর কক্ষে আটক রেখে ধর্ষণ করেছে। কাইফের বন্ধু মাহিন ছিল ৩০১ নম্বর কক্ষে। আমার মেয়ে গুরুতর অসুস্থ। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কাইফের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।