
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৯ পিএম
‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে যোগ না দেওয়ায় ইপিজেডের ২ কারখানায় ভাঙচুর, আটক ৪৫

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০৮ এএম

সেনাবাহিনী ৪৫ জনকে আটক করে পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে
আরও পড়ুন
মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে যোগ না দেওয়াকে কেন্দ্র করে আদমজী ইপিজেডের ভিতরে দুটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে বহিরাগত দুর্বৃত্তদের সংঘর্ষ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৪৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার বিকাল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা এ সময় ইউনোস্কো বিডি লিমিটেড গার্মেন্টস এবং অনন্ত হূয়াশিং গার্মেন্টস কারখানার কাঁচ ভাঙচুর করে। ফলে শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে শিল্পাঞ্চল পুলিশ ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনেন।
শনিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিল্পাঞ্চল পুলিশ-৪’র নারায়ণগঞ্জ জোনের পরিদর্শক (ইন্টিলিজেন্স) সেলিম বাদশা।
শিল্পাঞ্চল পুলিশ ও শ্রমিকরা জানায়, বিকাল ৫টার দিকে ৩০০-৪০০ জন বহিরাগত যুবক ইপিজডে ভিতরে ঢুকে ইপিজেডের শ্রমিকদের মার্চ ফর গাজা ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিতে বলে। এ নিয়ে ইউনোস্কো বিডি লিমিটেড গার্মেন্টস এবং অনন্ত হূয়াশিং গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ ও ইটপাটকেল নিক্ষের ঘটনা ঘটে।
শিল্পাঞ্চল পুলিশ-৪ এর নারায়ণগঞ্জ জোনের পরিদর্শক (ইন্টিলিজেন্স) সেলিম বাদশা বলেন, বহিরাগত ৩০০-৪০০ যুবক ইপিজেড এলাকায় প্রবেশ করে ইপিজেডের শ্রমিকদের নিয়ে মার্চ ফর গাজা ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল করার চেষ্টা করে। এ সময় ইউনুস্কো বিডি লিমিটেড গার্মেন্টস এবং অনন্ত হূয়াশিং গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে ইটপাটকেল নিক্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুটি কারখানার কাচ ভাঙচুর করা হয়। এ সময় কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে কিনা জানা যায়নি।
গ্রেফতার এবং ঘটনার ব্যাপারে জানতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনুর আলমকে এ প্রতিবেদকসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা একবাধিকবার ফোন করলেও তিনি কারও ফোন রিসিভ করেননি।
তবে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী বলেন, জেলা পুলিশ ঘটনাটি পরে জেনেছে। ইপিজেডে কুইক রেসপন্স করেছে র্যাব ও সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী ৪৫ জনকে আটক করে পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
এই ঘটনার পেছনে অন্য কোনো ষড়যন্ত্র কাজ করতে পারে বলে ধারণা এ পুলিশ কর্মকর্তার।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যুতো নিরপেক্ষ ইস্যু। এই মিছিলে তো সব দলের লোকজন থাকেন। কেউ অন্য কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এটি করেছেন কিনা পুলিশ সেটি তদন্ত করবে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।