
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৫ পিএম
যুবদল নেতার মাদক সেবনের ভিডিও ভাইরাল, মুছে দিতে ১০ লাখ টাকা দাবি

গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৩ পিএম
-67f9502b2f24c.jpg)
গাজীপুরের কোনাবাড়িতে যুবদলের এক নেতার মাদক সেবনের ভিডিও ধারণ করে ১০ লাখ টাকা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। টাকা না পেয়ে ওই যুবদল নেতার মাদক সেবনের দৃশ্য ভাইরাল করা হয়।
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ৪৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা গেছে সাদা শার্ট পরা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাজিব মিয়া একটি রুমে বসে মাদক সেবন করছেন। অন্যদিক থেকে তার ইয়াবা সেবনের ভিডিও ধারণ করছেন একজন ব্যক্তি।
অভিযোগ উঠেছে, মাদক সেবনের ভিডিওটি ধারণ করেছেন ওই ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরুল সরকার। পরে ওই ভিডিওটি কোনাবাড়ি থানা যুবদলের সদস্য সচিব আজিজুল ইসলামের কাছে দেওয়া হয়। বিষয়টি মীমাংসা করতে বলা হলে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন আজিজুল।
ইমরুল সরকার ও আজিজুল ইসলামের কথোপকথনের অডিও রেকর্ডটি প্রতিবেদকের হাতে সংরক্ষিত আছে। অডিওটিতে ইমরুল মাদকসেবনের বিষয়টি আজিজুলকে মিমাংসা করতে বললে সেটি মিমাংসা করতে ১০ লাখ টাকা লাগবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে ইমরুল বলেন, মাদক সেবনের ভিডিও কে ভাইরাল করেছে তা আমি বলতে পারব না। আমি ওই ভিডিও ভাইরাল করিনি, কিভাবে ভাইরাল হয়েছে সেটিও জানিনা। এ সময় টাকা চাওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।
টাকা দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে কোনাবাড়ী থানা যুবদলের সদস্য সচিব আজিজুল ইসলাম বলেন, আমি কোনো টাকা দাবি করিনি। তিনি অডিও এবং ভিডিওটি মিথ্যা বলে দাবি করেন। তার দাবি রাজিব একজন মাদকসেবী।
যুবদল নেতা রাজিব মিয়া জানান, তিনি ১৫ বছর ধরে দলের জন্য কাজ করছেন। তার বিরুদ্ধে বহু রাজনৈতিক মামলা রয়েছে এবং তিনি জেলও খেটেছেন একাধিকবার।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর আজিজুলসহ কয়েকজন চাঁদাবাজি করছেন। আমি এসবের প্রতিবাদ করায় তারা আমার বিরুদ্ধে লেগেছে এবং একটি মিথ্যা ভিডিও দেখিয়ে আমার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তারা ওই ভিডিওটি ভাইরাল করেছেন।