
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৫ পিএম
কলার সঙ্গে পেটে ভরেছেন ১ হাজার ৭০০ পিস ইয়াবা, অতঃপর

বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৪ পিএম
-67f94b871c27b.jpg)
আরও পড়ুন
কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে কলার সঙ্গে গিলে ফেলেন ৩৪ প্যাকেটে ১৭০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট। এগুলো বগুড়ায় আনার পর ডিবির হাতে ধরা পড়েছেন মো. আলম (৪০)। এ ঘটনায় জড়িত স্মৃতি বেগম ও তার জামাই মো. আপেলকেও (৩৫) আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে শহরের ভবেরবাজার এলাকা থেকে প্রথমে বাহক ও পরে মাদক ব্যবসায়ী দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিবি পুলিশের ওসি ইকবাল বাহার এ তথ্য দিয়েছেন।
বগুড়া ডিবি পুলিশ সূত্র জানায়, মো. আপেল ও তার স্ত্রী স্মৃতি বেগম কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী। স্মৃতি বগুড়া শহর যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ও বগুড়া পৌরসভার ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবদুল মতিন সরকারের ভাতিজি। আপেলের বাড়ি বগুড়া শহরের আটাপাড়ায় হলেও তিনি চকসূত্রাপুর চামড়া গুদাম এলাকার মতিনের ভাই জাহাঙ্গীর সরকারের মেয়ে স্মৃতি বেগমকে বিয়ে করে সেখানেই ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন। এই দম্পতি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসায় জড়িত।
তারা আলমের মাধ্যমে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহ করেন। আলম টেকনাফে বিশেষ ব্যবস্থায় খাবারের মাধ্যমে পেটের মধ্যে ইয়াবা ট্যাবলেট নেন। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বগুড়া শহরের ভবেরবাজার এলাকায় বাস থেকে নামেন। এ সময় আপেল তাকে রিসিভ করেন। গোপনে খবর পেয়ে আগে থেকেই সেখানে লুকিয়ে থাকা ডিবি পুলিশ দুজনকে আটক করে। এ সময় স্মৃতি মোবাইল ফোনে বারবার ইয়াবার চালান এসেছে কিনা তা জানতে চাইছিলেন। তখন ডিবি পুলিশ শহরের চকসূত্রাপুরের ভাড়া বাসা থেকে স্মৃতিকে আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় আলম অস্বাভাবিক আচরণ করলে তার পেটে ইয়াবা ট্যাবলেট থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। পরে তাকে শহরের ঠনঠনিয়া এলাকায় শামসুন্নাহার ক্লিনিকে নিয়ে এক্সেরে করালে চিকিৎসক তার পেটে কয়েকটি পোটলা দেখতে পান। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদ করলে আলম স্বীকার করেন তার পেটের মধ্যে ৩৪ পোটলায় এক হাজার ৭০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট আছে।
তিনি কলার সঙ্গে ইয়াবার প্যাকেট গিলে ফেলেন। এরপর চিকিৎসক ওষুধ খাওয়ালে আলমের মলদার দিয়ে ১৭টি প্যাকেট বেরিয়ে আসে। এতে ৮৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। বিকালে এ খবর পাঠানো পর্যন্ত তার পেট থেকে অবশিষ্ট ইয়াবা ট্যাবলেট বের করার চেষ্টা অব্যাহত ছিল।
ডিবির ওসি ইকবাল বাহার আরও জানান, বগুড়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর, সাবেক যুবলীগ লীগ নেতা, দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত, ৫ আগস্টের পর হত্যাসহ কয়েকটি নাশকতার মামলার আসামি আলোচিত আবদুল মতিন সরকারের ভাতিজি স্মৃতি বেগম ও তার জামাই আপেল কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী। এ দম্পতি বাহক আলমের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে থাকেন। এরপর এসব বিক্রি করেন।
তিনি আরও জানান, এ ব্যবসার সঙ্গে তাদের পরিবারের আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে ওই দম্পতি ও বাহক আলমের বিরুদ্ধে সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।