
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৪ পিএম
সাবেক এমপিসহ ৮৫ আ.লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

সেনবাগ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৮ পিএম
-67f7fb054b49f.jpg)
আরও পড়ুন
২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি দলীয় প্রার্থী জয়নুল আবদিন ফারুকের নির্বাচনী গণসংযোগে হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনের সাবেক এমপি ও সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোরশেদ আলমসহ ৮৫ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
সেনবাগ থানার ওসি এসএম মিজানুর রহমান বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার রাতে সেনবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন সেনবাগ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সেনবাগ পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হুমায়ুন কবির হুমু।
এদিকে, থানায় মামলা দায়েরের পর পরই বুধবার রাত ২টার দিকে ৪নং আসামি কাদরা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও কাদরা ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে কঠোর নিরাপত্তায় তাকে নোয়াখালী বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ মামলায় সাবেক এমপি মোরশেদ আলমের পুত্র সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম দিপু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম কবির, সেনবাগ পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু নাছের ভিপি দুলাল ও ডমুরুয়া ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন কানন, কাদরা ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া, মোহাম্মদপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম রিগান ও নবীপুর ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন সোহেল ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল হক তানভিরসহ ২৫ জন নামীয় ও অজ্ঞাতনামা ৬০ জনসহ মোট ৮৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর অনুমানিক সকাল সাড়ে ১০ টার সময় সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউপির উত্তর সাহাপুর ইদ্রিস মাস্টারের পুরাতন বাড়ির পূর্ব পাশে রাস্তার ওপর জয়নাল আবেদীন ফারুক তার নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে গনসংযোগ করছিলেন। এ উদ্দেশে কল্যান্দি বাজার হইতে যাত্রা শুরু করেন। সাহাপুর এলাকার প্রবেশ করার মুহূর্তে পরিকল্পিতভাবে ১ ও ২নং বিবাদীর হুকুমে অপরাপর এজাহারনামীয় বিবাদীসহ অজ্ঞাতনামারা বেআইনিভাবে চাপাতি, পিস্তল, লোহার রড, হকিস্টিক, লাঠি সোটাসহ মারাত্মক অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ফারুকের পথ রোধ করে ককটেল ও হাতবোমা ফাটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং বিএনপির প্রার্থী জয়নুল আবদিন ফারুককে হত্যার চেষ্টা করে।