মোমবাতি জ্বালিয়ে এসএসসি-সমমানের পরীক্ষা
বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৪ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
আবহাওয়ার বৈরী আচরণে দুর্ভোগে পড়েছে দিনাজপুরের বীরগঞ্জের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগমুহূর্তে হঠাৎ করে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বৃষ্টিতে ভিজে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে হয়েছে অনেক পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। বিশেষ করে যেসব পরীক্ষার্থীদের বাড়ি কেন্দ্র থেকে দূরে ও প্রত্যন্ত গ্রামে, তারা পড়েন বিড়ম্বনায়। বৃষ্টির কারণে যানবাহন স্বল্পতা ও রাস্তার পানি জমে কাঁদা হওয়ার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাদের।
উপজেলায় সকাল থেকে বৃষ্টিতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে উপজেলার বীরগঞ্জ-সি ৭৭১ নম্বর কেন্দ্র ঝাড়বাড়ী দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা দিতে দেখা গেছে পরীক্ষার্থীদের।
ভারি বৃষ্টিতে কিছু কক্ষে পানি প্রবেশ করায় ও অন্ধকারে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে দুর্ভোগে পড়ে পরীক্ষার্থীরা। মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রথম দিনের পরীক্ষায় একটি নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন হয়েছে বলে জানায় তারা।
এদিকে ঠাকুরগাঁও গ্রিড এলাকায় ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রপাত হওয়ায় বীরগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ এবং দলুয়া ৩৩ কেজি ফিডার ট্রিপ করার কারণে সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে দুঃখ প্রকাশ করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বীরগঞ্জ জোনাল অফিস।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে শতগ্রাম ইউনিয়নের পুলহাটের বাসিন্দা মো. জিল্লুর রহমান জানান, আমার ছেলে বীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পরীক্ষা কেন্দ্রে আসার পূর্বমুহূর্তে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। এ কারণে আসার পথে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
উপজেলার ঝাড়বাড়ি দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র সচিব মো. জাহেদুল ইসলাম জানান, পরীক্ষার প্রথমদিনে বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শুরুর পূর্বমুহূর্তে ঝড়-বৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎ না থাকায় পরীক্ষা কক্ষগুলোতে আলোর স্বল্পতা দেখা দেয়। আমরা নিজ উদ্যোগে তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষার্থীদের মোমবাতির ব্যবস্থা করে দেই। তবে আনুমানিক ২০ থেকে ২৫ মিনিট পরে বিদ্যুৎ এলে শিক্ষার্থীদের আর মোমবাতি জ্বালানোর প্রয়োজন হয়নি।
পরীক্ষা কেন্দ্রের নিরাপত্তা বিষয়ে জানতে চাইলে বীরগঞ্জ থানার ওসি মো. আব্দুল গফুল জানান, শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা সমাপ্ত হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশের কড়া নজরদারি ছিল। আমি নিজেও পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আহমেদের সরকারি মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরে ফোনের সংযোগ বিছিন্ন করে দেন। পরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি আর রিসিভ করেননি।
চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উপজেলায় ৯টি কেন্দ্রে ৫ হাজার ১৭৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে বলে জানা গেছে।
