
প্রিন্ট: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪০ পিএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৯ পিএম

আরও পড়ুন
চট্টগ্রামে জোড়া খুনের ঘটনায় হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া আসামি মো. সজীব আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। মূলত সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে অপর সন্ত্রাসী সরোয়ারকে মারার জন্য প্রাইভেটকারে গুলি চালিয়েছিল তারা। এ ঘটনার আগে প্রায় চার ঘণ্টা পর্যন্ত সময় নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়।
এরপরই ছোট সাজ্জাদের প্রতিদ্বন্দ্বী সরোয়ারকে খুনের উদ্দেশ্যে বের হন তারা। সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তফার আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে এসব কথা বলেন সজীব।
জবানবন্দিতে সজীব বলেছেন, ঘটনার দিন ৩০ মার্চ সকালে ইমন নামে সজীবের পূর্বপরিচিত একজন তাকে প্রথম খুনের পরিকল্পনার কথা জানায়। একটি মোটরসাইকেল নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে আসতে তাকে বলেন। সেই কথা অনুযায়ী ফটিকছড়ির একটি গ্যারেজ থেকে ১ হাজার টাকায় ভাড়া করা একটি মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় নগরীর অক্সিজেন মোড়ে এসে ইমনকে ফোন দেন সজীব।
তিনি বলেন, ইমন অক্সিজেনের পূর্বদিকে কয়লার ঘর এলাকায় যেতে বলেন তাকে। কথামতো সেখানে গিয়ে আরও ৭-৮ জনকে দেখতে পান সজীব। পরে সেখানে বসে তারা খুনের পরিকল্পনা করেন। তাদের সবার লক্ষ্য ছিল সাজ্জাদের প্রতিদ্বন্দ্বী সরোয়ার হোসেনকে মেরে ফেলা। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত তারা কয়লার ঘরে ছিলেন। সেখান থেকে দিবাগত রাত ১২টার পরে কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুসংলগ্ন বালুমহাল এলাকায় যান। সাতটি মোটরসাইকেলে অস্ত্র হাতে সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন ৭-৮ জন। তবে অনেককে সজীব চেনেন না।
সজীব আরও বলেন, বৈঠকে সবাইকে পরিকল্পনা বুঝিয়ে দেন ছোট সাজ্জাদের ডান হাত হিসেবে পরিচিত হাসান। মূলত সাজ্জাদকে ধরিয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে সরোয়ারকে মারার জন্য এ পরিকল্পনা করা হয়। ঘটনার দিন সজীবের মোটরসাইকেলে অস্ত্র হাতে ছিলেন হাসান।
৩০ মার্চ রাতে নগরীর শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে পেছন থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেল একটি প্রাইভেটকারকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। এতে বখতিয়ার হোসেন (৩০) ও মো. আবদুল্লাহ (৩২) নামে গুলিবিদ্ধ দুইজনের মৃত্যু হয়। গাড়িতে সরোয়ার থাকলেও তিনি বেঁচে যান। এ ঘটনায় বখতিয়ারের মা ফিরোজা বেগম সাতজনের নাম উল্লেখ করে বাকলিয়া থানায় মামলা করেছেন।