
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪১ পিএম
লুটের জুতা বিক্রি করতে অনলাইনে বিজ্ঞাপন, আটক ১৭

সিলেট ব্যুরো
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৯ পিএম
-67f5538cad210.jpg)
আরও পড়ুন
সিলেটে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল থেকে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ১৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। লুট করা জুতা বিক্রি করতে অনলাইনে বিজ্ঞাপনের সূত্র ধরে তাদের আটক করা হয়।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। সোমবার রাতে শুরু হয় অভিযান।
পুলিশ জানায়, সোমবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাটের পর অনলাইনে জুতা বিক্রির একটি বিজ্ঞাপন পুলিশের নজরে আসে। পরে পুলিশ ক্রেতা সেজে ওই পোস্টদাতাকে আটক করে লুট হওয়া কিছু জুতা উদ্ধার করে। এছাড়াও লুটপাটের ভিডিও ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- সিলেট নগরীর কাজীটুলা এলাকার মো. রাজা মিয়ার ছেলে মো. রাজন (১৯), একই এলাকার আরব আলীর ছেলে ইমন (১৯), দ্বীন ইসলামের ছেলে মো. রাকিব (১৯), সাদ আহমদের ছেলে মিজান আহমদ (৩০), সওদাগরটুলা এলাকার মৃত আবুল বাশার মিয়ার ছেলে মো. আব্দুল মোতালেব (৩৫), গোয়াইটুলা এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে সাব্বির আহমদ (১৯), কোম্পানীগঞ্জের ফরিদ মিয়ার ছেলে জুনাইদ আহমদ (১৯), মিরের ময়দান এলাকার মৃত মোস্তফা মিয়ার ছেলে মো. রবিন মিয়া (২০), শাহী ঈদগাহ এলাকার মো. মহছন আহমদের ছেলে মোস্তাকিন আহমদ তুহিন (১৯), দরগাহ গেইট এলাকার আব্দুল ছাত্তারের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (৩০), শেখঘাট এলাকার শামীম আহমদের ছেলে মো. রিয়াদ (২৪), বালুচর নতুন বাজার এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে মো. তুহিন (২৪), বটেশ্বর বাজারের সেলিম রেজার ছেলে আল নাফিউ (১৯) এবং নোয়াখালীর চাদমিল থানার পশ্চিম নাহার কিল গ্রামের সৈয়দ আলতাফ মানিকের ছেলে সৈয়দ আল আমিন তুষার (২৯), বিয়ানীবাজার উপজেলার গোবিন্দ্রশ্রী গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে মো. সোহেল খান (৪২), সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সিদ্দরপাশা গ্রামের শাহ নূর মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া রুপন (৩৫), বিশ্বনাথ উপজেলার জানাইয়া গ্রামের মৃত নন্দন মালাকারের ছেলে অরুণ মালাকার (৩৫)।
এ বিষয়ে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. জিয়াউল হক বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া লুটপাটের ভিডিও পর্যালোচনা করে জড়িতদের আটক করছি। আটকদের মধ্যে একজন লুট হওয়া জুতা বিক্রির জন্য অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন। তাকেও আটক করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার ও উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, হামলা ও লুটপাটে জড়িতদের মধ্যে ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে। লুটপাটকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে বিভিন্ন এলাকায় আমাদের টহল ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি অনলাইনে নজরদারিও চলছে।