
প্রিন্ট: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪২ পিএম
কাজী পলাতক ৮ মাস, তবুও চলছে বিয়ের কার্যক্রম!

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২২ পিএম
-67f53f1a4b987.jpg)
আরও পড়ুন
শিবলী নোমানী একাধারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মুসলিম বিবাহ সম্পন্নের কাজী ছিলেন। গত ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক। তবুও চলছে মুসলিম বিবাহ রেজিস্ট্রার কাজ। এ বিষয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিবলী নোমানী ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার আড়পাড়া এলাকার মোমিন মোলভীর ছেলে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে শিবলী পলাতক রয়েছেন। পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ডের এ কাজীর বিরুদ্ধে শিবির কর্মী আবুজর গিফারী ও শামীম হোসেন হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তিনি এখনো জামিন পাননি। এছাড়া বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন।
শহরের মেইন বাসস্ট্যান্ড মসজিদ মার্কেটের ২য় তলায় অবস্থিত শিবলী নোমানীর কাজী অফিসে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে তার ম্যানেজার বজলুর রহমান একটি চেয়ারে বসে আছেন। তিনিই মূলত সবকিছু দেখাশোনা করেন। তবে সেখানে কাজীর চেয়ারে অন্য একজনকে বসে থাকতে দেখা গেছে। এ বিয়ে পড়ানোর কাজ করেন শিবলী নোমানীর ছোট ভাই মনিরুজ্জামান মিঠু। তিনি বিভিন্ন স্থানে গিয়ে বিয়ে পড়ানোর কাজ করেন।
বজলুর রহমান জানান, বিয়ে যে কেউ পড়াতে পারেন। বিয়ে রেজিস্ট্রির কাজ করেন শিবলী নোমানী। কয়েকটি বিয়ে পড়িয়ে একসঙ্গে সেসব কাগজপত্র স্বাক্ষর করানোর জন্য শিবলী নোমানীর কাছে পাঠানো হয়। তিনি স্বাক্ষর করে দেন। এখন বিয়ের কাজ খুব কম। ৫ আগস্টের পর থেকে মাত্র ২০টির মতো বিবাহ সম্পন্ন করেছেন তারা।
তবে এ ব্যাপারে জানতে কাজী শিবলী নোমানীর মোবাইলে ফোন দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান, শিবলী নোমানীর বিরুদ্ধে দুই শিবিরকর্মী হত্যাসহ ৫টি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তিনি পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ঝিনাইদহ জেলা রেজিস্ট্রার সাব্বির আহমেদ জানান, কাজী পলাতক থাকার বিষয়টি তিনি অবগত নন। তবে খোঁজ নিয়ে দেখে ওই কাজী যদি পলাতক থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।