
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৯ পিএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৭ পিএম

আরও পড়ুন
মিয়ানমারে শুকনো খাবার, তাঁবু, পোশাক, চিকিৎসা সামগ্রীসহ আরও ১২০ মেট্রিক টন ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার সকালে নৌবাহিনীর জাহাজ ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’ এই ত্রাণসামগ্রী নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করেছে।
নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান উপস্থিত থেকে সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
দুপুরে আইএসপিআর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে সুপ্রতিবেশীসুলভ মনোভাব জোরদার হবে বলে মনে করছেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে- অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনায় এবং সশস্ত্র বাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতা ও তত্ত্বাবধানে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারকে এ মানবিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী, সেনাকল্যাণ সংস্থা এবং রেড ক্রিসেন্ট এ সহায়তার জোগান দিয়েছে। ১২০ মেট্রিক টন ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে, ৭৭ মেট্রিক টন শুকনো খাবার, ৯ টনের বেশি তাঁবু ও পোশাক, ২৯ টন বিশুদ্ধ পানি, চার টন হাইজিন কিট এবং এক টন ওষুধসহ জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী।
নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আরিফের নেতৃত্বে জাহাজটি আগামী শুক্রবার মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন বন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে। সেখানে মিয়ানমার সরকারের প্রতিনিধি দলের কাছে ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর করে জাহাজটি দেশে ফিরবে।
ত্রাণ সহায়তা প্রেরণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান বলেন, এ ত্রাণ সহায়তা প্রেরণের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বিদ্যমান পারস্পরিক সহযোগিতা, কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং সুপ্রতিবেশীসুলভ মনোভাব আরও জোরদার হবে বলে আমার দৃঢ়বিশ্বাস।
অন্যদিকে নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক গড়ে উঠলে রোহিঙ্গা ইস্যুসহ দ্বিপাক্ষিক নানা সমস্যা মোকাবেলা সহজ হবে বলে মন্তব্য করেন।
গত ২৮ মার্চ মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার দুই ধাপে সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর মাধ্যমে ৩১ দশমিক ৫ মেট্রিক টন ত্রাণসামগ্রী, উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তাকারী দল পাঠিয়েছে।