
প্রিন্ট: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪০ পিএম
ঘুসের টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হলেন শিক্ষা কর্মকর্তা

ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪০ পিএম

আরও পড়ুন
ইন্দুরকানীতে ঘুসের টাকা ফেরত দিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর একেএম আবুল খায়ের। উপজেলার চরনী পত্তাশী রহিম স্মৃতি দাখিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী মো. নজরুল ইসলামের বেতন স্কেল বৃদ্ধির জন্য ৫০ হাজার টাকা ঘুস নেন এই কর্মকর্তা।
সোমবার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জেলা শিক্ষা অফিস থেকে বদলির ছাড়পত্র নেওয়ার সময় ভুক্তভোগী শিক্ষক ওই টাকা দাবি করেন এবং তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
জানা যায়, সহকারী মৌলভী মো. নজরুল ইসলামের বেতন স্কেল বৃদ্ধির জন্য ৫০ হাজার টাকা ঘুস নেন শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল খায়ের। স্কেলে অন্তর্ভুক্তি না করার কারণে তার কাছে বারবার টাকা ফেরত চাইলে টাকা দেননি কর্মকর্তা। ভুক্তভোগী শিক্ষক তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেন। কিছুদিন পরে ইন্দুরকানী উপজেলা থেকে মঠবাড়িয়া উপজেলায় বদলি হয় তার এবং ইন্দুরকানী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি। গত সপ্তাহে মঠবাড়িয়া থেকে ভোলা চরফ্যাশন উপজেলায় বদলি হয়।
সোমবার জেলা শিক্ষা অফিস থেকে বদলির ছাড়পত্র নেওয়ার সময় ভুক্তভোগী শিক্ষক ওই টাকা দাবি করেন এবং তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সহযোগিতায় ভুক্তভোগী শিক্ষককে বিভিন্ন খরচ বাদ দিয়ে ২৫ হাজার ঘুসের টাকা ফেরত দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, শিক্ষা কর্মকর্তা মীর একেএম আবুল খায়ের ইন্দুরকানী উপজেলায় ৮ বছর কর্মরত ছিলেন। সেই সুযোগে ঘুস, শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও কৌশলে সরকারি টাকা আত্মসাতের মতো বিভিন্ন কাজ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম জানান, আমার কাছ থেকে বেতন স্কেল উন্নতিকরণের জন্য শিক্ষা কর্মকর্তা ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন। জেলা শিক্ষা অফিসের সহায়তায় আমি ২৫ হাজার টাকা ফেরত পেয়েছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মীর একেএম আবুল খায়েরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে মোবাইল বন্ধ থাকায় যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।