
প্রিন্ট: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩২ পিএম
সাতক্ষীরায় আ.লীগ নেতা কোপাত মোড়ল গ্রেফতার

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৯ পিএম
-67f40485ac6f0.jpg)
আরও পড়ুন
সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগ নেতা কোপাত মোড়লকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নিজ গ্রাম আশাশুনির গোকুলনগরের রুলামিন নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশাশুনি থানার ওসি নোমান হোসেন।
জানা গেছে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পালানোর দিন ছাত্র-জনতার মিছিলে প্রকাশ্যে গুলি করে ৩ জনকে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে কোপাত বাহিনীর ক্যাডারদের বিরুদ্ধে। ঘটনার দিনই পালিয়ে যায় কোপাত ও তার দলের সদস্যরা; কিন্তু সম্প্রতি এলাকায় ফিরে আবারও বেপরোয়া হয়ে ওঠে দলটির নেতাকর্মীরা।
স্থানীয়রা জানান, সুন্দরবনের কুখ্যাত জলদস্যু এলাই ডাকাতের মৃত্যুর পর সেই বাহিনীর হাল ধরে তার ছোট ভাই কোপাত। পরে আওয়ামী লীগ নেতাদের হয়ে ডাকাতি-লুটপাটের দায়িত্ব পালন করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর নাকনা গ্রামে মিছিল বের করেন ছাত্র-জনতা। সেই মিছিলে জাকির হোসেনের নেতৃত্বে হামলা চালায় কোপাত বাহিনী। মিছিলে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ৩ জনকে ঘটনাস্থলেই হত্যা করা হয়। এতে আহত হন অন্তত ২০ জন। পরে উত্তেজিত জনতা জাকিরের বাড়িতে পালটা হামলা চালায়। এ সময় জাকির নিহত হন। তখন কোপাত বাহিনীর প্রধানসহ অন্যরা বাড়ি থেকে দেওয়াল টপকে পালিয়ে যায়।
এ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার পর পালিয়ে গেলেও সম্প্রতি এলাকায় ফিরেছেন। এলাকায় ফিরে মধ্যম একসরা গ্রামের খোরশেদ শিকারি, নাংলা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম মন্টু, গোকুলনগর গ্রামের সেলিম রেজা, রেজাউল করিম সরদার ও আব্দুল্লাহ সরদারসহ ৩০ থেকে ৩৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল গঠন করেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কোপাত বাহিনীর বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে আশাশুনি থানায় অনেক মামলা রয়েছে। ডাকাতি ও লুটপাটের ঘটনায় তাদের নাম উল্লেখ করে হওয়া যেসব মামলার সন্ধান পাওয়া গেছে তার মধ্যে আশাশুনি থানায় মামলা নং ১১/২৯৬, ৪৩/২৪, ৬৩/২৪, ১২৩/২৪ ও ১২৪/২৩ অন্যতম। এছাড়া নন-জিআর মামলায় পরোয়ানা রয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে কোপাত ডাকাতি মামলায় একাধিকবার কারাগারে গেলেও দলীয় প্রভাবে জামিন নিয়ে বের হয়ে আসেন।
আশাশুনি থানার ওসি নোমান হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোপাত মোড়লকে গ্রেফতার করা হয়েছে।