
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৯ পিএম
রায়পুরে বিএনপির দুইপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম

আরও পড়ুন
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুইপক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সাইজুদ্দিন দেওয়ান নামে এক স্পেন প্রবাসী মারা যান। এছাড়া উভয় গ্রুপের ৩০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের খাসেরহাট বাজারে ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ফারুক কবিরাজ ও রায়পুর উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব শামীম গাজী গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত সাইজুদ্দিন দেওয়ান (৩৫) চরবংশী খাসেরহাট এলাকার দেওয়ান বাড়ির নুর দেয়ানের ছেলে। তার স্ত্রী-সন্তানও রয়েছে। তিনি শামিম গাজি গ্রুপের অনুসারী।
আহতদের মধ্যে ৭ জনকে জরুরিভাবে রায়পুর, লক্ষ্মীপুর সদর, নোয়াখালী ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
দলীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সোমবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের খাসেরহাট বাজারে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা। এতে শামিম গাজি, শফিক রাঢ়ী, গণি রাঢ়ী, মিজান খান, কবির হোসেন, বিল্লাল হোসেন ও জিহাদসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে কুপিয়ে আহত করা স্পেন প্রবাসী সাইজুদ্দিন দেওয়ানকে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান।
উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব জিএম শামিম বলেন, ফারুক কবিরাজের নির্দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। তুচ্ছ ঘটনায় তারা এ ঘটনা ঘটায়। ১৯ ডিসেম্বর রাত থেকে ২০ ডিসেম্বর দুপুর পর্যন্ত সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপি নেতা ফারুক কবিরাজের লোকজন।
উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ফারুক কবিরাজ বলেন, কৃষক দলের উপজেলা সদস্য সচিব শামিম গাজির নেতৃত্বে এলাকায় দখল ও চাঁদাবাজি চলছে। আমাকে ভালো জানা নেতাকর্মীরা তাকে বাধা দিলে বিশৃঙ্খলা হয়। শামিমের লোকজন দফায় দফায় অস্ত্র নিয়ে বাজারে প্রকাশ্যে মহড়া ও ইউনিয়ন বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর করেছে।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, সেনাবাহিনীসহ পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষতিগ্রস্তদের থানায় মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সতর্ক আছে।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জেডএম নাজমুল ইসলাম মিঠু বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।